তুমি যাও, সোজাসুজি চলে যাও।
পিছন ফিরে তাকিও না, খবরদার!
হয়ত আমার মরে যাওয়া দেখে, পুড়ে যাবে তুমিও,
ফিরে যাওয়া হবেনা আর।
আমি পৈশাচিক আনন্দ নিয়ে জলেস্থলে
বাকি জীবন কাটিয়ে দেবো।
যে সুখগুলো এ জীবনে দিলে
তা ফেরৎ পাবেনা কিন্তু
মনে রেখো, ওটা আমিই নেবো।
এ বেলার জয় যদি, ও বেলা ক্ষয় না হয়
যদি শেষভাগে আমার ভাগিদার কেউ না রয়,
তবে আমার, বাকি আর কোনো ভাবনা নাই।


যা হোক তুমি ওপথে যাও, আমি এপথে যাই।
যাবেই যখন তবে আর ভণিতার আশ্রয় নিও না,
দিও না পোড়া মনের দুর্গন্ধ বাড়িয়ে,
তাই বলে এখনি আমায় দিওনা তাড়িয়ে।
মুখোমুখি একটু দাঁড়িয়ে
চোখে চোখ রাখি চলো।
বলো আরও একবার বিদায়ের কথা বলো,
চলো বলাবলি করি,
চলো কিছু সময় থাকি আরও।


ওখানটায় একটু বসবে? চলোনা, বসি?
কি হলো, চুপ মেরে থাকলে যে?
প্রস্তাবটা পছন্দ হয়নি বুঝি?
দেখো কান্ড! তোমার হাতে সময়ই নেই,
অথচ নির্বোধ আমি, এখানেই জীবন খুঁজি।
এই যা ! কষ্ট পেলে বুঝি, আচ্ছা তুমি যাও-
আমারতো মুঠিমমুঠি অফুরন্ত সময়,
অতএব, আমি একটু বসি,
হাঁটুতে বিষণ্ণ থুতনি গুজে তোমার চলে যাওয়া দেখি,
পিছনে পড়ে থাকা শাড়ির আঁচল দেখি,
পিঠ ভর্তি তোমার কালো চুল দেখি,
শ্যামলা কোমড়ে, কালো তিলক দেখি।
যাও চলে যাও, আমি বসে থেকে
তোমার, চলে যাওয়া দেখি।