বসন্তের আগমন
              প্রকৃতিতে রটিছে গুঞ্জন
              শুধালে দখিনা সমীরণ।


নন্দনকাননে নবীন পত্রপল্লবে
সেজেছে প্রকৃতি মনোহরী অবয়বে
সলজ্জ বদনে ঘোমটার আড়ালে
পুষ্পরাণী প্রহর গুনে কেবলে-
                         প্রণয়ী ভ্রমরা এই বুঝি আসে
                                       পরিণয়ের আশ্বাসে...


প্রহর কাটে সময় বাড়ে
মক্ষিকা নাহি আসে কাননে
পুষ্প রাণী মরে কাতরে
                                   বিহঙ্গ বিহনে!


পুষ্পরাণীর ব্যথায় আহত দেবদূত
বিনীত স্বরে তাহারে করে অনুরোধ-
                  "কি  হেতু এহেন করুণ মলিনতা
                  বসন্তের স্নিগ্ধতা ছাপিয়ে বিষণ্নতা?"


পুষ্পরাণী কহিলো আঁখি তুলি-
            "বসন্ত বরণে কেন'কো আসে নাকো অলি?
             মধুকুঞ্জ সাজিয়েছি পাপড়ির স্তরে স্তরে
             অর্ঘ্য নিবেদিতে মোর আরাধ্য দেবতারে
             মধুকরে আসিলে মধু সঞ্চায়নে
             ধন্য হই পূর্ণতা পাই পুষ্প জীবনে।"


দেবদূত আসে তথা মক্ষিকা পানে
সুধায় উহারে পরম আহবানে-
                   "কেন কবি বিমুখ? বসন্ত বরণে!"


মক্ষিকারাজ প্রতিত্তরে-
             "ফুল ফোটে ক্ষণেক ঝরে যায়
              বসন্ত আসে ক্ষণেক চলে যায়। "
                            
                          "কেবলই অনুরণ
                             মায়াবী শিহরণ
                             ক্ষণিকের ব্যঞ্জন!"


দেবদূত ফিরে যাও নন্দনকাননে
বার্তা পৌঁছাও পুষ্পদেবীর কানে-
                          "আসুক পূজোর তিথি
                       মাহেন্দ্রক্ষণেই হবে আরতি!"



-১৭ ই মার্চ,২০২৩
সানকিপাড়া,ময়মনসিংহ।