স্তব্ধ নিঝুম, অন্বিত অনন্য
সুরভিত যামিনী নির্ঘুম কামিনী
তন্দ্রাহত নিষ্প্রাণ লোকারণ্য
রজনী দ্বিপ্রহর একাকিনী বিরহীনী
আজি ভগ্ন হৃদয় বিরহপূর্ণ।


চন্দ্র মৃদু স্বরে
শুধাইলো ভগ্নহৃদয়ে
পূর্ণেন্দু রাতে মধুরও বিলাসে
কেনো অশ্রু কনা গড়ায়
ব্যথাঞ্জলি মৌনতা আভাসে?


ভগ্ন হৃদয় প্রতিত্তোরে
ব্যথা নাহি সহে হৃদয়ে
বিরহ বীণা বাজে অন্তরে।


অন্তরের অন্তস্থলে রেখেছিনু যারে
হৃদয় উপারি ভালোবাসায় জড়ায়ে
বিশ্বাসের আলিঙ্গনে আস্থার চাদরে।


সহসা ছিন্ন করিয়া মায়ার বাধন
নিঠুরিয়া সে জন দিলো বিসর্জন!


হারায়ে প্রিয়জন ক্ষত-বিক্ষত মন
আজি নয়নের জলে করে প্রহসন!


চন্দ্র মৃদু হাসে -
এতো আক্ষেপ কিসে?
নিঃস্বার্থে যাও ভালোবেসে;
আপনারে দাও বিলিয়ে
স্নেহাতুর প্রণয়সিক্ত হৃদয়ে।


অতিথি পাখি তো পালাবেই উড়ে
যদিওবা তারে রাখো স্বর্ণসমাদরে।


হঠাৎ আনমনে
চন্দ্র কহে," বিশ্বে আলো দিয়াছি ছড়ায়ে
কলঙ্ক যা আছে তা আছে মোর গায়ে।


এইটুকু বলে খানিকটা থেমে;
চন্দ্র আবারও মৃদু হেসে-
বিলীন হোক যতসব মিথ্যে স্মৃতি হতাশা
হৃদয়ে জাগুক আমরণ প্রশান্তি ও আশা।


এমন সময়ে
ঘন কালো মেঘে
চন্দ্রকে গেলো ছেয়ে।


ভগ্নহৃদয় কেবলই আঁখি ডোরে
কি যেনো বলিবার প্রত্যয়ে
নিরবে ডাকে যায় তাহারে!


-১৩ আগস্ট ২০২২
দেওলা, টাংগাইল ।