বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’এর জীবনী চতুরদশপদি কবিতায় রচিত হচ্ছে,যার কিছু অংশ এখানে প্রকশ করা হল । সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। বই’টির নাম ‘BIRTH To Death’ । বাকি অংশ ২৫/০৭/১৩তে প্রকাশিত হবে। আমিন … ..পৃথিবী
‘BIRTH
TO
DEATH’
প্রথম অধ্যায় ((তৃতীয় ৫০লাইন)
লেখাপড়া হাতে খড়ি নিজ গৃহছায়
উন্নি’শ সাতাশে গিমাডাঙ্গা বিদ্যালয় ।
দু’মাস বাদে সীতানাথের ৩য় কোঠায়
এখানে কাটে খোকার কিছুটা সময়
অনেক ঘটনার আমি প্রত্যক্ষ সাক্ষী
তারি ভাই দুচারটা করিলেম ব্যাক্তি ।
মম দেখা মুজিবের কত গুলো দিন
আজীবন লিখিলেও সুধিবে না ঋণ ।
স্পষ্টবাদী আচরন; ন্যায় নিষ্ঠবানী
ভাঙ্গিত অন্যায় যত অন্ধ হয়রানি ।


একদিন বর্ষায় একা ফিরছে বাড়ি
দুষ্টমি করে তাঁরে দিল ভেদরে ফেলি ।
গায়ে ছিল জামা-লুঙ্গি গেলো মাখি কাঁদা
বই-টই সব ভাসি গেল খালে দাদা ।
মুজিব নীরব থেকে বইগুলো তোলে
শান্ত স্বরে বলে,“তুমি কেন দিলা ফেলে?
কোন ভুল হলে বন্ধু চাই আমি ক্ষমা
চল যাই এক সাথে গায়ে ভিজে জামা।”
পাজির সর্দার ঐ আনিচ হেসে কয়
যা মাফ করে দিলাম । নাহি তোর ভয় ।
সে দিনের মত সবে বাড়ি চলে গেল ,
পরদিন গুরু তাঁরে বকা-ঝকা দিল ।
দোষ তাঁর বই বিনা আসিয়া মক্তবে
ছেলেমেয়ে নিয়ে দ্যাখো জনসবা করে!
করে’ত ভাল,তাও শিক্ষক’কে শাষাতে !
কেন আনিলেম বেত বল ক্লাসে ক্লাসে !


অনেক দিন ক্লাসে’তে আসেনা আনিস
মুজিব জিজ্ঞাসিল তোরা কিছু জানিস?
কেন আসেনা ক্লাসে, কী হয়েছে ওর?
জানিলে বড়ই আজ ভালো হোতো মোর ।
কেহ কিছু জানিল না আনিছের ব্যাপার
ছোট্র মুজিব চলিল লইতে সংবাদ ।
অনেক খুঁজিয়া পরে মধুমতি তীরে
পাইল অবশেষে ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘরে ।
ঘর দিয়া পানি পরে অন্ম বস্ত্র নাই
সৎ মা টাও মরিয়াছে, কোথা হবে ঠাই?
বাপ ওর গরিব গায়ের এক মুচি
আট’টি ছেলে মেয়ের কে জোগাবে রুজি?
বাপ ওরে বলিয়াছে মোর সাথে থাক
গরিবের কাজ বিনা নাহি কোন মাপ ।
সকল শুনিয়া নীরব কাঁদিয়া ফিরে
বাড়ি । বাপরে কয় কী করি ওর লাগি ।
উদার হৃদয় সমাজ সেবক বাবা
অল্পতে বুঝিল খোকার সকল কথা ।
কহে, কথা কই বন্ধুর পিতার সনে,
রাখবে’ত দেখো ফিরব না শূন্য হাতে।”
এভাবে আনিছ পুনঃবিদ্যালয়ে ফিরে
নত শিরে সাথি হয়ে ভিরে তাঁর দলে ।


শিশু বয়সে সমাজ’কে কত কী দিল
লিখতে’ত পারছি না মাফ করে দিও ।


একদিন শ্মশানে জনৈক চিতা জ্বলে
মুজিব তখন শিশু,একা একা কাঁদে
ঠাকুর আসিয়া কয় কেন বাবা কাঁদো ?
উত্তরে কহিল,“সে যে ছিল বড় ভালো।”
আমিও’ত মোরে যাবো এভাবে পুরাবে
না’কি কবরে সকলে আমারে শোয়াবে?
হিন্দু-মুসলমান খোদা তোমার খেলা
এই মূর্খরা কী বুঝি তোমার ছলনা ।
সকলে নীরব হয়ে সনে তাঁর ব্যথা
ঠাকুর কহিল বাবা বড় জ্ঞানী কথা ।
বড় দেখো তুমি বড় কিছু হবে
দোয়া করি ঠাকুর আমি নিঃস্বার্থ মনে ।


( সংক্ষেপিত )