সেদিনও ছিলো বসন্ত,
মনের সাগরে ঢেউ উঠতো অফুরন্ত।
ভয় পেতাম--যদি না হয় একই মতামত,
হারিয়ে ফেলবো কি তাকে, চিরকালের মতো?


আড় চোখে দেখতাম তোমায়,
পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটু ছোয়া পাবার তীব্র ইচ্ছার দুঃসাহসও করেছি।
হঠাৎ তোমার গলার শব্দ শুনে কোনো এক বাহানাই তোমাকে দেখতে যাওয়া,
আবার কবে দেখা হবে সেই আশায় পথ চাওয়া।
কোনো অনুষ্ঠানের ভীড়ে একবার দেখা পাবার যে লালসা,
তখন বুঝিনি এতটুকু জানালেই
ব্যক্ত করা যেত আমার ভালোবাসা।


হ্যাঁ,,আমি এই ভেবেই রয়েছি,
বয়ে বেড়িয়েছি চাপা পড়ে যাওয়া কিছু কথা।
কথা হয়নি কখনো,
সাহস করে চোখে চোখ মেলাতে পারিনি।
তোমার হাসির শব্দ যখন প্রবেশ করতো আমার কানে,
আমার অপেক্ষাকাতর হৃদপিন্ডের সামান্য কম্পনও
আমি তোমাকে বুঝতে দিই নি।
পাছে, দুর্বলতা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে,
নাটকীয় লুকোচুরি খেলা শুরু হয় তোমাকে একচক্ষু দেখার।


তুমিও নিষ্ঠুর কম নও,বুঝতে দাওনি কিছু,
জানি আমার কাছেই তুমি শিখেছিলে এই লুকোচুরি করা খেলা।
কিন্তু এখন ফুরিয়ে গেছে আমাদের বসন্তের সেই সোনালী বিকেল,
প্রবল সূর্যও পর্বতের শিখরে চুম্বন দিয়ে অস্ত গেছে শেষ বারের মত,উদয় হতে অন্য কারোর আকাশে।


আমি জানি আমার কথার ভিতরে এমন কিছুই নেই,
যার অর্থ বের করলেও তোমার প্রতি আমার দুর্বলতা প্রমাণ করা সম্ভব।
আমিও তো তোমার মতই অ্- জ্ঞানে এতদিন উপস্থাপন করেছি নিজেকে।