নিঃশব্দে আসা গোধূলিবেলার বাতাসে,
গাছের বাদামী পাতাগুলো ঝরে যায়- সুস্থিরে,
এই সব পাতা ঝরা দিনে,
আমার মৃত্যুর দিন মনে হয়,
রোডপয়েন্টের অতিকায় ঘড়ি সন্ধ্যার জানান দেয়,
পূর্ণিমার চাঁদ আর একরাশ মেঘ, তাদের মাঝে আদিম খুনসুটি নিয়ে,
আলো অন্ধকারের খেলায় মেতে উঠে,
অথচ শহরের রাস্তায় জমজমাট আলো।
তারপরেও আমি, পূর্ব থেকে পশ্চিমে,
নীরবে গেছি হেঁটে, মনে হয় এতসব জমজমাট অালোর মাঝে, অন্ধকার একা!


হাঁটতে হাঁটতে চেয়ে দেখি,
বা পাশের দোতলা রেস্তোরার জানালায় উচ্ছাস, নান্দনিক শহুরে পার্টি,
আমার চোখ অাটকে থাকে, আড়ম্বর অায়োজন!
তারই নিচে ফুটপাতে শুয়ে আছে,
এই শহরের উদ্বাস্তু শিশু,
আমার মতো আরও কৌতুহলী জনতার চোখ রেস্তোরার জানলায়,
অথচ প্রশান্ত সমুদ্রের ন্যায় একমুখ ঘুম নিয়ে,
তারই নিচে ফুটপাতে,
এই শহরের উদ্বাস্তু শিশু।


আবার মনে হয়, অন্ধকার একা নয়, অন্ধকারকে আপন করে নিয়েছে তারা,
অমনই প্রশান্ত চোখের ঘুম  দিয়ে।


পূর্ণিমার চাঁদ হারিয়ে গিয়েছে সমস্তই,
অথচ জোস্নার খোঁজে নেই কেউ,
একের পর এক যাত্রীবাহী বাস, চৌরাস্তার মোড়ে
এক মুহুর্ত থেমে ধীরগতিতে ছুঁটে  যায় আবার,
তাতেই সীমাবদ্ধ আমার মতন আরও অনেক প্রাণ,
অবহেলিত জোস্না তাই আজ মিশে গেছে,
রোস্তোরার নিচের অই ঘুমন্ত শিশুটির মুখে।


আমি তবু নীরবেই হেঁটে গেছি,
মনে হয়, এইসব জমজমাট আলোর মাঝে, গভীরে-
তারাও অন্ধকারের মতন একা