আমার নিত্য চিত্তে এক সুখ এসে জমে,
যতবার আমি তোমায় দেখি খোয়াই।
তোমার সরু দেহে,
মৃদু ঢেউ যে হরিণীর চঞ্চল
সিক্ত চোখের ন্যায়,
আমার চোখে গভীর আলোড়ন তুলে,
আমি তো নির্দ্বিধায় সহস্রবার যেতে পারি সলিল সমাধি; সে ঢেউয়ে।


সুন্দরতম তুমি; বসন্ত বরষায়-
তুমি অনন্যা,
কোনো মায়াদেবী যে তোমায় দিয়েছে বর,
অন্তনীল আকাশও যেন হয়েছে নত;
আমার সুদৃঢ় হৃদয় মুহুর্তেই হয়ে যায় ভঙ্গুর,
নশ্বর জীবন নিয়ে বারবার ছুটে আসি-
তোমার কাছে- তুমি যে শাশ্বতী,
তোমার শরীর ছুয়ে  গেছে যে পথ,
সে পথ ধরে প্রভাত- নিশি আমি
আজীবন হেঁটে যেতে পারি; নিবিড় ভালোবাসার টানে, অক্লান্ত পায়ে,
আমার পথিক পদচিহ্ন রেখে গেছি এই বালুচরে,
তুমি এসে ছুয়ে দিও, মুছে দিও;
আবার এসে রেখে যাব ছাপ,
এমন করেই তো আমাদের প্রেম,
আমার হৃদয়ে যে গভীর ছাপ তুমি রেখেছো,
এমনই নীরব নির্জন।
তোমাতে কাটিয়েছি নির্ঘুম নিশি,
পেয়েছি প্রেম তোমার অমনই নীরব,
নিশিথের শেষে এসে,
তোমাতে দেখেছি নবযৌবণ; তোমাতেই
পেয়েছি নতুন প্রাণ;
দেখেছি এক ঝাঁক বক উড়ে আসে তোমার গায়ে,
আমিও তাদের ন্যায় ছুঁইয়ে দেই কম্পিত ঠোঁট,
অামি চোখ তুলে দেখি, সুন্দরতম তুমি!
দু- হাত ধরে তোমার বিস্তৃত সবুজ,
এখানে জন্মেছি আমি পরে,
তার আগেই হয়েছি আমি তোমার প্রেমিক।