আমার শরীর রক্তে রাঙা উল্লাস
দুঃ ছাই হয়ে গেলো নিমেষেই;
আমি আকাশের দিকে আড় চোখে তাকাই ,
আগের মতন আড় চোখাচোখি হয় না।
চোখে চোখ পড়তেই চোখ সরিয়ে নেই এক অতৃপ্তির অনুভূতিতে,
আকাশের গভীরে ছিল যার বাস,
তাঁর খুব কাছে যেতে পারি না কিছুতেই।
আমার রক্তে হাড়ে যে টগবগে নবউন্মাদনার ঝংকার ছিল,
সাগর ছুঁয়ে আসা বাতাসে মিলিয়ে গেল নিমেষেই।
দুঃছাই! রাঙা ফড়িং- য়ের ডানা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে,
ঠিক সন্ধ্যের মতন বিষণ্ণতার ছাপ পড়ে,
ডানাহীন ফড়িং মাথা নুয়ায়, শরীর ঢেলে দেয় সবুজ ঘাসের বিছানায়,
এই ঘাসে আজ ঘাসফুল নেই,
ঘাসফুলের মতন ছিল যে,
তাঁর খুব কাছে যেতে পারি না।
আকাশ ভেদ করে আসা বৃষ্টি,
ডানাহীন ফড়িং- এর কান্না আরও বাড়িয়ে দেয়,
আকাশ কাঁদে, ফড়িং কাঁদে,
আমারও কান্না পায়।
নশ্বর সুখের পিছু আমাদের আমরণ দৌড়ঝাঁপ,
বিকেলের বাতাসে বাঁশির সুর,
ফড়িং – এর ডানায় রাধিকার বিরহের ছাপ।
একদিন ঠিকই চলে যাব আরও দূরে দিগন্তে, দূর অরুণিমার পিছু পিছু,
রক্তিম নিভৃত গোধূলির পানে,
যেখানে অগণিত প্রিয়জনদের দেহহীন প্রাণ,
মৃত্যুর পরেও ঠিক আগের মতন ভালোবাসা বুকে নিয়ে বাতাসে ভাসছে নির্দ্বিধায়,
মৃত্যুর পরেও ভালোবাসা যায়।
প্রিয় খোয়াইকে কথা দিয়েছিলাম, যাব...
শ্বাশ্বত পূর্ণিমার রজনীতে খোয়াইয়ের জলে যার ছায়া,
তাঁর খুব কাছে তবু যেতে পারি না।
মায়ার মতন ছিল ভালোবাসা,
- তবুও তো ভালোবাসাই।