সেদিন দেখলাম তোমায়, বড় নিঃসঙ্গ দেখাচ্ছিল
খুব হতাশ হয়েছিলাম- তোমায় উদাসীন দেখে
  কষ্ট হয়েছিল আমার অক্ষমতা ভেবে;
আমি কিছুই করতে পারলাম না, বলতে পারলাম না-
        আমি তো আছি.......!!
কারণ এ রাস্তা তোমার নিজের বেছে নেওয়া।


মনের মধ্যে অদম্য ইচ্ছা ছিল- তোমার সাথে পথ চলার
কিন্তু শেষ মুহুর্তে তুমি তোমার কথা রাখলে না;
রাত্রির শেষ ট্রেনটা পর্যন্ত, স্টেশনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছিলাম।
তারপর ভোর রাতে বাড়ি ফিরে বিছানায় শরীরটাকে ছুঁড়ে দিয়েছিলাম,
কিন্তু মনটাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবো কিভাবে বলো?
শত অনুরোধেও তাকে বোঝাতে পারলাম না-
       তুমি অবিশ্বাসিনী......!!
বারবার সে বিশ্বাস করতে চাইছিলো তোমাকে।


আমার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটলো দুইদিন পর
তোমার শেষ ফোন পেয়ে; তুমি ভয় পেয়েছিলে আমাকে,
ভেবেছিলে আমি পাহাড়ী নদী, আমি খরস্রোতা,
আমি অন্য রাস্তা দিয়েও বইতে পারি!!


তুমি সমুদ্রের গভীরে ডুব লাগাতে চেয়েছিলে,
খুজে নিতে চেয়েছিলে অমুল্য কিছু...পেয়েছো তো???
জানি পেয়েছো! এ সংসারের কাছে, এ সমাজের কাছে
তুমি সব পেয়েছো তাদের চিন্তাধারায়।


বিয়ের প্রথম বছর পুজোয়-
তোমার পাশে তোমার ডাক্তার স্বামী নিয়ে
তোমার ঠোঁটে যে হাসি তোমার সব পাওয়ার
ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করছিল--
আমি কিন্তু সে হাসি চিনেছিলাম।
সেখানে হতাশা আর সুখের ফানুস ছাড়া কিছুই ছিল না!


আজ আমি চল্লিশ -এর দোড় গোড়ায়, তুমিও হইতো।
কাঁচা হলুদ রং-টা আজও বেশ মানায় তোমায়,
কলেজে প্রথম প্রেমের প্রথম সরস্বতী পুজো,
তোমার শাড়ি আর আমার হলুদ পাঞ্জাবি-টার কথা
মনে করিয়ে দেয়-- এই হলুদ রং-টা!


আমার মানিব্যাগে সেদিন এর ট্রেনের টিকিট দুটো
এখনও রাখা আছে!
                    যাবে বকু(বর্ণিকা)??????!!!!