আমি না ঠিক সুস্থ নই
কেমন যেন অগোছালো।
কেমন যেন উন্মাদ।
তাইতো প্রতি মূহুর্তে
লুকোচুরি খেলা খেলি,
স্বাভাবিক মানুষদের মাঝে
নিজেকে মিশিয়ে নেওয়ার।


মাঝে মাঝে কেমন যেন
বুকের ভিতর শব্দ শুনি।
উন্মাদ বলেই হয়তো শুনি।
কেমন শব্দ?
আগুনে শব পোড়ালে যে শব্দ?
ঠিক তেমনটাই।
কিন্তু এই আগুন নেভে না
থেমে থেমে জ্বলতেই থাকে।
তাই শব্দ ও কখনো থামে না পুরোপুরি।
চলতে থাকে স্বল্প বিরতিতে।
চলতে থাকে ছন্দহীন।


আবার কখনো মনে হয়
কেউ যেন কাঁদছে।
কান পেতে শুনি।
কে কাঁদে এমনভাবে?
এতো করুন ভাবে?
চোখের জলে
কি অদ্ভুত হাহাকার তার।
আবারো কান পাতি
সতর্ক হয়ে।
তারপর হঠাৎ ই বুঝতে পারি,
আরে!
এ কান্না তো বুকের ভিতর হচ্ছে!
ঠিক আমার মনের ভিতর।
হ্যাঁ! তাইতো!
মনের মাঝেই কাঁদছে কেউ
অসহ্যকর যন্ত্রণা নিয়ে।
শুনি।
আবারো কাজে মন দিই।
অভ্যস্ত ভঙ্গিতে।


এই বুকের হয়েছে যতো জ্বালা।
ছোট্ট যে মনটা আছে তার ভিতর?
কে যে সেখানে বসে আছে?
বুঝতেই পারিনা।
এই যে আমার এত্তো ঝঞ্ঝাট,
সবটাই তো তার-ই জন্যে।
তাইনা?
যতোই তাকে বলি
শান্ত থাকো।
মানে না সে।
বরং ছটফট করতে থাকে।
বনের পাখি ধরে এনে
খাঁচায় আটকে দিলে যেমন?
ঠিক তার মতোই।
শান্ত হয় না সে।
বরং পাখির মতো শক্ত আঁচড়ে
ভিতরটা ক্ষত দিয়ে ভরিয়ে দেয়।
কিসে যে শান্তি পাবে তা শুধু সে-ই জানে।


নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করি কখনো।
এমন বুঝি সকলের-ই হয়?
নাকি আমার বুকের ভিতর টা-ই এতো ভিন্ন?
কেবল আমার বুকের ভিতরেই বুঝি
অজানা সে ভিন্ন কারো বাস?
উত্তর টা ঠিক জানিনা।
তবু দিন আসে যায়।
আর আমি চর্চা করি মেনে নেওয়ার।
হয়তো এই উন্মাদ মস্তিষ্ক
আর...
আর এক উন্মাদ অজানা কে।