রূপবতী বসন্ত
প্রবীণ রায়
প্রকৃতি , তুমি নিজেকে সাজাও ভিন্ন সাজে
কখনো সে সাজ হয় রুদ্র কঠোর,
কখনো বা শীতলতার,
কখনো বা চমকিত আকাশের মত আলোকউজ্জ্বল।
তোমার সাজের বৈচিত্র্যতার পূর্ণতা পায়,
যখন তুমি শরতের শিউলিমালা পড়ে
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে, ঝলমল করে হেসে ওঠ।
যখন তুমি নবযৌবনা রূপ নিয়ে হাজির হও।
বনে বনে ফেলে দাও ফুল ফোটানোর সাড়া,
পাখিদের কন্ঠে দাও সুমধুর সুর,
দক্ষিণের মৃদু বাতাসে জুড়িয়ে দাও শরীর-মন।
এইসব লীলার জন্য, তোমার অপরূপ রূপের কেউ নাম দিয়েছে “ঋতুরাজ”,
কেউ বা বলে “ঋতুপত্নী”,
কেউ বলে “চিরো যৌবনা”,
আবার কারো কাছে তুমিই “বসন্ত”।
বসন্ত, তোমার পত্রপুষ্পে সুশোভিত পরিবেশ
হৃদয়ে দেয় দোলা।
শিমুলের শাখায় থোকা থোকা লাল ফুলের আড়ালে
আনন্দে কু-উ দিয়ে ওঠে কোকিলা।
মাঠে মাঠে সরষে ফুলের ক্ষেতে,
প্রকৃতি পেতে দেয় হলুদ গালিচা।
আমের শাখায় দেখা যায় ঝুরঝুরে মুকুল।
মেঘশূন্য নীল আকাশের তলায়
গলা ছেড়ে গান গায় পাল নিয়ে ফেরা রাখাল।
এতো রূপ, এতো রং, এতো সুর,
মানুষের মনে সৃষ্টি করে নতুন চেতনা,
সৃষ্টি হয় রোমান্টিকতার,
মানুষ পায় হাস্য-লাস্য ও প্রাণোচ্ছ্বল জীবন।
বসন্ত, তোমাকে তাই বরণ করতে রঙ্গিন শাড়িতে সেজেছে এক ঝাক তরুণী,
তোমার সৌন্দর্যতায় ভরিয়ে দাও তাদের হৃদয়ের দোলানী।