( অনিবা‍র্য কৃষ্ণগহ্বর থেকে অনিশ্চিত ভারসাম্যের দিকে – হেঁটে যাচ্ছি ।
কিন্তু তার সঙ্গে, পাঁচুর কোনো মিল নেই
অথচ পাঁচু বলেছে, ওকে নিয়ে একটা কবিতা লেখা হোক ... )


লাল মাটি আর বেলপাহাড়ী ঘুরে,
টাটা-সুমোর কাঁচের ওপারে,
খুব সকাল, সবুজ, আর ধোঁয়াটে কুয়াশা ।


নাছোড় মেঘের ভীড়ে,
নির্ভেজাল ভারসাম্যের নীল খেলা,
এবং নিষিদ্ধ আকাশে, ইতঃস্তত স্পর্শ- কাতরতা ।


দিনের আলোর মত সাদা ?
নাকি, সাদা-কালো, অন্য কোনো প্রত্ন-প্রত্যয় ?
এই সব সংশয়, আমি আর পারি না এড়াতে ।


সামনে, নির্ভরযোগ্য গণতান্ত্রিক পাঁচিল,
পিছনের দেওয়ালে, টাঙ্গানো, আর্থ-সামাজিক প্রতিরক্ষার প্রতিশ্রুতি ।
আমরা এখনও মানুষের চামড়াটা গায়ে জড়িয়ে, হেঁটে যাই মধ্যমগ্রাম চৌরাস্তার মোড়ে...


তবু কোনো পরিচিত নক্ষত্রের রাতে,
ভিজে মাটির গন্ধের সাথে, অবধারিত মিশে যায়,
তোর শৈশব - কৈশোর ছিঁড়ে, উত্তরণের প্রচন্ড অভিঘাত...


তোর বুকের গভীরে,
ডিজিট্যাল পালস জেনারেটর,
এবং দশ আঙুলে নিংড়ে নেওয়া, অবৈধ বিস্ময় ।


তবু আমি জানি, তোর চোখের তারায় সেই ছবি, সেই সুর,
তোর জন্যে, মাটির খুব কাছাকাছি,
যে অপেক্ষা করে আছে তার’
“পরনে ঢাকাই শাড়ি, কপালে সিঁদুর ... “   ।