কত্তামশাই একটা জামা দিয়েচেন
কি সুন্দর জামা দ্যাক ...
তোর জন্যে ... পুজোর জামা ...
মুন্নিরে দ্যাক একবার,
কি সুন্দর জামা দিয়েচেন
আমাদের কত্তামশাই ...
গায়ে এট্টু বড়ই হবে ... তা হোক ...
পরের বারেও পরতে পারবি,
ওঠ মুন্নি ... ওঠ,
এখন আর ঘুমোস নি
চ’ তোকে নিয়ে আজ,
সদরে ঠাকুর দেকতে যাব
আজকে যে শেষ দিন পুজোর
আজকে দশমীর দিন ...
সন্ধ্যে হয়ে গেলে তো
ভাসান চলে যাবে ঠাকুর ...
আর দেকতে পাবিনে
টানা সেই তিনদিন খেটে
তিরিশ টাকা পেয়েচি,
আর তোর জন্যে জামা ...
কত্তাবাবুর মেয়ের জামা
দ্যাক কি সুন্দর লাল
ওরে দ্যাক না ... মুন্নিরে ... ওঠ ...
উঠে পর, আর ঘুমোলে বেলা হয়ে যাবে ...
উঠে পর ... তোর চুলটা বেঁধে দি আগে ...
অ্যাই ... অ্যাই ... উঠে পর বলচি,
... একি রে তোর গা এতো ঠান্ডা কেনো ?
হাত পা গুলো কেমন কাঠ কাঠ হয়ে গেচে ...
তুই ... তুই ... উঠবি না ?
দ্যাক না ... মুন্নি, দ্যাক না একবার,
তোর জন্যে ... জামা এনিচি...
পুজোর জামা ...
ঠাকুর দেকতে যাব সদরে,
একবার চোখটা খুলে দ্যাক না,
কি সুন্দর লাল জামা ...