অভিমানে শিকল বন্ধী নিষ্পাপ দু'টি চোখ;
ডুবে গেছে গভীর তমিস্রায়।
কতদিন দেখিনি জ্যোৎস্না উড়ো উড়ো পৃথিবী;
দেখিনি রৌদ্রছায়ার নিসর্গ: রঙিন প্রজাপতির দল ;
শ্বেত শুভ্র বালিহাঁস আর পদ্ম পুকুর জল।
মহাকাল ঘুমিয়ে আছি অপার নৈঃশব্দ্যে!
কতদিন করিনি পান প্রেমের অমিত লাবণ্য শুধা।
শোনা হয়নি পুরাতন কন্ঠনিষাদ; ভায়োলিনের সুর।
হয়ত একদিন ভোরের সূর্য কিরণে জেগে উঠব আমি !
দেখবো প্রভাতের পুনর্মিলনে অপূর্ব তিলোত্তমা নগরী;
স্বর্গের টানে ছুটে চলা বিষাদী বায়ুদল, মেঘদল,
নির্মল প্রশান্তির মেঘধৌত আকাশ।
দ্রুপদী সুরে বুকের ভিতর মেঘের ঘুঙুর বাঁজবে;
আমি ভাসবো শ্রাবন মেঘের ভেলায়।
রুপালি জোস্নায় প্রথম স্নান সেরে -
পুরাতন ড্রসিং টেবিলের লুকিং গ্লাসে দেখো নিবো -
বুকের ভাজে জমাট বাঁধা অজস্র পারদ জলের ফোঁটা।
প্রতিবিম্বের ওপাশে তুমি দাঁড়িয়ে থেকো,
আমায় দেখো ; প্রিয় জলপাই রঙের প্রেমিক;
আমি আবারও কথা বলবো থরথর ঠোঁটের ভাষায়,
শরীরী লিপ্সায়; জড়িয়ে নিবো নিঃসঙ্গতার শিরায় শিরায়; শুন্য নীরবতায়।
জানি আমি আবারো হেরে যাবো!
ঘুমিয়ে যাবো উজ্জ্বল বালিয়াড়িতে, দ্বিধা-দ্বন্দ্বে তোমার অপেহ্মার তৃষ্ণার্ত বুকে!
অতঃপর আত্মমগ্নতা ভেঙে,
শেষবার সম্বিত ফিরে দেখে নিবো -
আমাদের অতীতের ঘুণে ধরা মলাটের ডাইরির নীলাভ পাতা।
পড়ে নিবো পুরাতন গল্প,
আমাদের ভালোবাসাবাসির যত কথা।
কতো রজনী পেরিয়ে গেছে তীব্র অভিমানে;
গনগনে রাজপথে নেই আর কৃষ্ণচূড়ার ছায়া ;
তবুও করবো নক্ষত্রের মতো যাপন
ভালোবেসে হোক না লুণ্ঠিত এই জীবন।।