প্রজাপ্রতির জীবনচক্রের মতোই -
রূপান্তর এই জীবন;
এক প্রচীন পথ পরিভ্রমণ শেষে -
প্রতিদ্বন্দ্বী না থেকেও যেন, বারবার একে-অন্যের কাছে হেরে যায়!
এ কোন জয়-পরাজয় নয়; তবুও আমরা ডুবে যায় মুহূর্তেই নিরর্থক শূন্যতার তলহীন মধুকোষের অতলে!
স্বপ্নভঙ্গের মতো অদৃশ্য স্বর্ন কিশোরী সময়ে-অসময়ে লাল পায়ের ঘুঙুর বাজিয়ে যায়।
যেন বাধ্যতামূলক নৈকট্যের ডাকে বার বার বলে যায়-তোমার জাফরান রঙের প্রেম চাই।
ঠিক যেমন মুক্ত বিহঙ্গ তার সংজ্ঞাহীন স্বাধীনতার স্বাদ পাই।
তবুও আমাদের তৃষ্ণিত নয়ন চেয়ে রই দিগন্তে বিলীন শূন্যতার পথে।
মাঝ পথে অনেক কথায় অসমাপ্ত আর অব্যক্তই রয়ে যায়।
ভুলে যায় আমাদের যুগল পথযাত্রায় আমরাই ছিলাম।
অতঃপর অসংখ্য অক্ষরে লেখা হয় ধুসূর কবিতা।
বিজন দুপুর গড়িয়ে তুলির দাগে আঁকা হয় নিঃসীম রিক্ততার নামহীন জলছবি।
তবুও বাঁচার জন্য বালু ঘর বাঁধতে চায়,
মৌণতার সখ্যে হলেও বাঁচতে চায় ;
কচ্ছোপের খোলেসের মতো বাঁচতে চায়;
নয়তো আলোময় জীবনের ছলে -
অন্ধকারে বাঁচতে চায়;
আমরা সত্যিই বাঁচতে চায়।
লাল, নীল, হলুদ প্রজাপতির মতো আকাশ গঙায় উড়াউড়ি করে বাঁচতে চায়।।