যায় চলে যায় মনের পাখি,
বাঁধন মানে না।
বুকের পাঁজর ভেঙে গেলেও,
মুখ তো ফোটে না।


স্বয়ংয়ে স্বপনে তারে দেখি বারংবার,
চোখ বুঝিলে হয় যে উদয়,
মনেতে আবার।


ভাবের ঘরে বসত করে,
হইয়া রাজরানী।
তারে ভালোবেসে, হইলোরে মন,
জীবন কোরবানি।


সুখ পাখিটা, পোষ মানে না,
মনের পিঞ্জিরায়।
তারে ভালোবেসে আমার,
জীবন বুঝি যায়।


জীবনের মানে শুধুই তো সে,
মনের পিঞ্জিরায়।
বুকটা ফেঁটে চিরে গেলেও,
মন, বলতে নাই পায়।


বছর চারেক আগে তারে,
দেখেছিলাম যেথা।
হলে অবতীর্ণ আমি,
মনে হয় সে কথা।


সহজ সরল একটি মেয়ে,
সদা মুখে হাসি।
দৃষ্টিগোচর হলে পরে,
বলে ওঠে, মনটা আমার,
তারে ভালোবাসি।


মনকে যখন প্রশ্ন করি,
পাবি কি তারে?
কালো বিষাদ জেগে উঠে-
ঘনীভূত মেঘের মতো
আমার কোমল হৃদয়ে ঘরে।


হাসি তো তার হাসি নয়,
যেনো গগন তারা।
মনে মনে ভাবি আমি,
হবে কী জীবন অতিবাহিত,
সেই নারীকে ছাড়া।


নারী?


নারী তো নয় সে-
যেন তোতা পাখি,
মনটা আমার কেঁদে উঠে-
যখন তাকে দেখি।


দেখার স্বাধ যে ফুরোয় না সে,
ওই মায়াবী মুখ-
নয়ন প্রকাশ হলে পরে,
থমকে উঠে বুক।


বুকের ভেতর চিনচিনানি,
ওঠে মৃদ্যু ব্যথা-
হৃদয় মাঝে ভেসে ওঠে-
যখনই তার কথা।


মনের রাণী বসত করে,
হৃদয় সিংহাসন,
যদি না পাই, তারে আমি,
ঘটবে হৃদয় দহন।


বক্ষ মাঝে দহন থেকে,
হয় যদি কোনো ক্ষত।
বুঝবো অকাতরে তারে,
বেসেছি ভালো কত।


শূন্য হৃদয়, শূন্য থাকুক-
করে হাহাকার।
বাসি ভালো তারে আমি,
এইতো জীবনের সার।