একদল নেকড়ে অন্ধকার খুব চেনা বীভৎস্য লাল চোখ
মাংসাসী দাঁতের ফাঁকে নির্লজ্জতা ঠেলে দিত মধ্যরাতেও
একলা ঘরে কেঁপে কেঁপে উঠতো মোমবাতির নির্জনতা
চাঁদের জানালা বন্ধ করে রাখতে হত
হৃদয়ের দরজায় শক্ত খিল
তবু কবিতার খাতায় মেখে যেত ভয়াল নেকড়ের দাঁতাল অন্ধকার


এ রকম ভীষণ অতীত ছিল ও পাড়ায়


একদিন ভোরের নদীতে স্নান সেরে ফিরছিল একটা তরতাজা নদী
আমার শিউলীতলায় হঠাৎ দাঁড়ালো নির্ভীক যুবকের মত
কুড়িয়ে নিল কিছু শুভ্র সাদা আমার -
তারপর এক অঞ্জলি সদ্যস্নাত হাসি রেখে চলে গেল প্রশস্ত পথের মত
সামনের দিকে চলা সুদীর্ঘ নদীর মত


সে এগিয়ে গেল, একটা পথ রেখে গেল, একটা নদী এঁকে গেল


সে পথ ধরে আমি এখন এ পাড়ায় থাকি
সে নদীতে আমি এখন প্রতি রাতে সাঁতার কাটি
এ নদীতে এখন আমি প্রতি ভোরে স্নান করি, শিউলির অঞ্জলি দিই
নেকড়েরা এখন আর দাঁত বের করে আসে না এ পাড়ায়
আমি এখন নির্ভয়ে খুলে রাখি চাঁদের সব ক'টি জানালা
খুলে রাখি হৃদয়ের দরজা প্রিয় সব নদীর জন্য


মোমবাতির নির্জনতায় এখন অতিথি হয় প্রশস্ত পথ, নির্মল নদী
কবিতার ক্যানভাসে হেসে ওঠে স্বপ্নের মুখ, নিজস্ব রক্তের চোখ


এ পাড়ায় এখন আমি রক্তে ও হৃদয়ে আছি
এ পাড়ায় এখন আমি জীবনে ও যৌবনে আছি


এ পাড়ায় এখন আমি কবিতায় আছি