সারাদিনের অন্ধকারে ডুবসাঁতার কেটে কেটে পুট করে ভেসে ওঠে সে এক কৃষ্ণ পানকৌড়ি
ডানার জল ঝেড়ে সাঁই সাঁই করে উড়ে আসে সন্ধ্যার দরজা গলিয়ে এইখানে
ঠিক এইখানে আমার কবিতার বিছানার কোল ঘেষে শুভ্র মেঘের মতো চকচকে চোখে গল্প বানায় সমস্ত দিনের -
--- খুব হেকটিক দিন গেল আজ --- উত্তরার জমিটা --- গুলশানের বাড়িটা
--- নতুন বিজনেস --- ইত্যাদি ইত্যাদি ---


আমি জানি, সারাদিন কি সব করেছে কান্ড - কার সাথে চন্দ্রিমায়, কার সাথে নজরুল জয়ন্তী,
কোন জোসনা মেলায় রৌদ্রবেলায় - আমি সব জানি,
কারণ, আমাকে জানতে হয়
কারণ, আমার প্রতি মুহূর্তের প্রয়োজন আমার প্রতি রোমকূপে
ওর হেয়ালিতে ঝুলে ব্রা, প্যান্টি, ইত্যাদি অন্তর্বাসের মতো আমার সমস্ত দিন
বিপন্ন বাতাসে শুকিয়ে খড়খড়ে কাঠ খড়ি হয় অদম্য ইচ্ছে
সারাদিন কী দীর্ঘ মাস হয়ে যায়
সারাদিন কী দীর্ঘ বছর হয়ে যায়
সারাদিন চোখ ব্যথা হয়ে যায় পানকৌড়ির প্রতীক্ষায়
বিবশ পানকৌড়ি বোঝে কী একা রোমকূপে সুখের মুখ খোলে না


আজ ওকে ছাড়বো না সারারাত
রঙ-তুলি নিয়ে বসবো, আঁকবো দিবারাত্রির সুনিশ্চিত ক্যানভাস