মনোবসন্তে রঙের স্রোতের ধারায়
অলোক কল্লোল তুলে সে এসেছে আজ
সুদীর্ঘ জলসাগরের রোদ স্পর্শ নিয়ে।


আমি ভাল ছিলাম না বহুকাল।


সে দেখেছে আমাকে রক্তের আড়ালে বসে বসে
বহু লম্বিকা রাতের জ্যোৎস্না ঝাড়ে গোপন উঁকি এঁকে;
সে ছিল সংগোপনের সব সুবর্ণ নামী-দামি পোশাকে
সে ছিল ভাল বেশ ছায়ার আঁচলে ঢাকা অদৃশ্য দর্শকের ভিড়ে
নিসর্গের বাসন্তি মঞ্চের তীরে।


আমি দেখেছি তার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনুভূতির সুর
কৃষ্ণচূড়ার বাতাসে
শুনেছি, স্বজন আমার ভাল আছে, ভাল আছে অজস্র
কাব্যরূপসীদের হিমোগ্লোবিনে।


সে যাই হোক,
যুবরাজ ইচ্ছের ঘোড়ায় সওয়ার হবে স্বাভাবিক।


আমি আজ তার হাতে টকটকে লাল পাপড়ির
সমস্ত বসন্ত সরাব অগ্নি গেলাসে ঢেলে দেবো;
বলবো, "কবিতার হংসী গ্রীবায় গোপন হাত রাখো, পান করো
পান করো, প্রিয়, জিয়ানো সবটুকু মধুনির্যাস এই।"


তুমি ফিরে এসেছো!
তুমি এসেছো ফিরে!
নিসর্গ তাই আজ মনোবসন্তের রৌদ্রজলে হবে শূদ্ধ স্নাত; -
আপদমস্তক বসন্ত সৌরভের সুরে বাঁধা গান গেয়ে যাবে -
"আমার পরান যাহা চাই তুমি তাই ..."