যা কিছু আমার আর ব্যবহার্য নয়
তার কিছুই আমি আর ফেলে দিতে পারি না।
নিঃসংকোচে গায়ে পরি আধময়লা শার্ট
সাবধানী পায়ে আগলে রাখি ছেঁড়া জুতো
ভুলে যেতে পারি না ফেলে আসা সময়, নিদাঘ দুঁপুর
অসময়ে কড়া নাড়তে পারি না কারো দরজায়
করতে পারি না দুধের বাচ্চাকে জিম্মি।
কলেজফেরত যুবতীকে ইভটিজিং করতে গিয়ে
আমি পা ফসকে পড়ে যাই পথে
আমার এই বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব
ছটাক দরে বিক্রি হয় ফার্মগেট, লোকাল বাসে
রিক্সার পা-দানিতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে প্রেম।


ছোলাবোটের দাম কমেছে আজকাল
তবু রোজ ভোরে-
ডাস্টবিনে ফেলে আসতে কষ্ট হয় দানার খোলস
আমার মায়া জমে,
পাশের যাত্রী যখন নাম না জানা স্টেশনে নেমে যায়
তখন মনে পড়ে শ্যামাবরণ প্রেমিকার মুখ,
ভুলা যায় না ফ্রি-স্কুলস্ট্রিটের নাগরিক শোভা;
আটপৌর অতীতকেও বড়ো মোহনীয় মনে হয়।
অন্তীমকালে বারেক হাতছানি দিলে গোধূলি-সঙ্গম
আমি তাঁকে একান্ত মনে চাই।


                                
পারি না ডাস্টবিনে ফেলে দিতে রংচটা মানিব্যাগ।
যা কিছু আমার আর ব্যবহার্য নয়,
হৃদয়ে ভরে রাখি তার বিলিয়ে আসা সুখ।