অবশেষে তুমি আজ এলে, সামনের চত্বরে_
বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার তুমুল উৎসব।
আগন্তুকদের ভিড় ঠেলে তুমি পৌছুলে ঠিক সন্ধায়
এবার পাখিরা গাইলো, দু-চারটি বুকে এসে লাগলো
শত যুগ আগের ফাল্গুনী হাওয়া।


তবে কি তোমার একটুও ভয় করেনি?
খুব কাছেইতো ছিলো তোমার ক্ষুরধার দাদারা, দিদিরা
কাছাকাছিই আড়ালে ছিলো গুপ্তচরের দল।
তাদের দেখোনি যারা তোমায় পাল্টে দিতে পারে
যা কিছু পাওনি সে টুকুই তোমার প্রেম
কাব্য নয়, আমি জীবনের কথা বলছি।


পল্লবী রানী দেবনাথ,
চলো আমরা এবার পরিযায়ী অতীতের দিকে যাই;
অমসৃন সিঁড়িতে উপর-নিচ দাঁড়িয়ে-
কাছাকাছি রেখে আর তোমার হাত ধরবো না।
অতর্কিত করবো না হায়েনার মতো চুমু
আর তোমার কিংবা তোমাদের কোনো ভয় নেই,
ছোঁবো না নরম করতল, ঠোঁটের কোণ।


সেই আমি আজ বড়ো নিরর্থক হয়ে বেঁচে আছি
তোমার ব্যাগের ডিকশনারি খোলে দেখো
তাতে আমার আর সুষম কোনো অর্থ নেই।
যেই নাম মুছে গেছে, হারিয়ে ফেলেছে তার নিজস্ব জৌলুস
তার অসহায়ত্বের মুঠো হাত ধরে-
পড়ে আছি এক চিলতে ঠিকানা মাত্র!


যখন ফিলিস্তিনের ভোরে বোমার কলরব
তখন তোমার দাদাদের আমার আর কোনো ভয় নেই
আমায় দেখে অনবরত হাসে তোমার সুস্মিতা দিদিরাও।
পাশ কেটে চলে গেলে কোনো অবুঝ বালিকার দেহ
আমি সেই ছায়ার উপর রাখি হাত। দেখি
সময়ের মানে মুহুর্মূহু বদলায়,
জীবনের মানে বদলায় না।