প্রথম জীবনের যাবতীয় ভুল-ত্রুটি সঙ্গে নিয়ে
তিনি আবারও দ্বিতীয়  জীবন শুরু করলেন।
তারপর তৃতীয় জীবনে এসেও একইরকমভাবে
যোগ করলেন ত্রি-মাত্রিক ভুলচুক।
অতঃপর চতুর্থ, অতঃপর...


স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাদের দীর্ঘ রাতের মতো
নির্লিপ্ত জীবনবোধ নিয়ে তিনি রোজ ঘুমুতে যান।
সকালে তুলে আনা তরকারির স্বচ্ছতায় বুনা
তরতাজা স্বপ্নে তিনি তাঁর প্রথম প্রেমিকার
আগের প্রেমিকাদের বেশ্যাবৃত্তি করতে দেখেন!


তিনি আয়নার সামনে দাঁড়ালে এখন আর
কিছুতেই নিজেকে দেখতে পান না।
তিনি নিজের স্থানে, নিজের মতো অথচ
হাবাগোবা ধাচের একজন মন্ত্রিকে দেখতে পান।
পরম যত্নে তাঁর চুল আঁচড়ে দেন
যিনি দেশবাসীদের দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে
বরই দিয়ে ইফতার করতে বলেন!


তিনি মাংস কিংবা মাংসজাত খাবার কিনতে
এখন আর বাজারের থলে নিয়ে বের হন না।
হাতিরপুল বাজার থেকে তীক্ষ্ণ ছুরা দিয়ে
গণিকার সুঢৌল স্তন কেটে নিয়ে আসেন।
তাঁর একুশজন প্রেমিকার কারও যোনিপথ নেই!
তিনি আমাদের সারমেয় জীবনের দিকে চেয়ে
একুশ বছর যৌনতাহীন সংসার করছেন!