জীবনের ঘুড়ি
প্রণয় আচার্য্য
--------------------------------------------
জীবনের তরে ধরণীর পরে কত সুখ তুমি পেলে?
হাসি আর গান চাপা অভিমান সুবাস ছড়িয়ে গেলে।
কেটে যায় বেলা করে অবহেলা ভাবে সবে পরে বসে
জীবনের নামে শরীরের ঘামে নানান অংক কষে।
ঘুরেফিরে এসে দেখে অবশেষে ফলাফল হাতে নিয়ে
জীবনের সুদ করেছে মজুদ কতখানি কাছে গিয়ে।
জীবনের ঘড়ি টিকটিক করি বেজে চলে তার মতো
ভাবে সবে হায় বাঁধা যদি যায় আছে গায়ে জোর যতো!
বয়সের ভারে হাঁটতে না পারে বসে বসে তাই  ভাবে
বৃদ্ধ সে হয়ে জীবনকে বয়ে কতদূরে নিয়ে যাবে
ফেলে আসা দিন কত যে রঙিন কেটেছে সবার হায়
প্রচেষ্টা শত করে অবিরত আর কি পাওয়া যায়?
ভরা যৌবন ছিল উচাটন পাখির মতন ডানা
গিয়েছিল উড়ে দূরে বহুদূরে করতো না কেউ মানা।
মনে পড়ে তাকে হারিয়েছে যাকে জীবনের বাঁকে
বাঁকে
মনে পড়ে সব কত কলরব হাজার কাজের ফাঁকে
জীবনের ঘুড়ি যায় যদি উড়ি দূর আকাশের পানে
খুঁজবে না কেউ সাগরের ঢেউ হারিয়েছে কোনখানে?
যতদিন আছো ধরণীতে বাঁচো মন দাও ভালো কাজে
সকলে তখন করবে স্মরণ সকাল দুপুর সাঁঝে।