আধখানা চাঁদ দাঁড়িয়ে ছিল তোমার বাড়ির ছাদের উপর,
তার আলো একটু ক্ষীণ ভাবে ঝরছিল কে জানে কার উপর!
বাতাস বয়ছিল, তোমার বাড়ির সামনের গাছটা দুলছিল,
সেখান দিয়ে উড়ছিল প্রচুর প্রত‍্যাশা, কে জানে কার মন বেয়ে!
কিছুটা লুকিয়ে থাকা আলো দেখা যাচ্ছিল,
তোমার বাড়ির কোনো কোণ দিয়ে।
কারও বুঝি সেই একটু আলোর প্রয়োজন ছিল,
কারণ সেই আলোর মূল্য ছিল তার জীবন দিয়ে।
আধখানা চাঁদ দাঁড়িয়ে ছিল তোমার বাড়ির ছাদের উপর,
সেটাও যেন ব‍্যাকুলতার সঙ্গে ভাবছিল তার অসম্পূর্ণতার উপর।
দুদিক থেকে কালো মেঘ এসে আধখানা চাঁদকে ঢাকছিল,
সেখান থেকে একটু মাথা বের করে চাঁদ মিথ্যা হাসি হাসছিল।
কিছুটা কৃত্রিম আলো,
তোমার বাড়ির ছাদটাকে উজ্জ্বল করে রেখেছিল।
আর তাই সম্পূর্ণ অসহায় ভাবে,
আধখানা চাঁদ অলক্ষ্যে ঢাকা ছিল।
কলঙ্ক তার প্রথম থেকেই,
তাই কলো মেঘ আর কি কলঙ্ক দেবে!
চোখ তার প্রথম থেকেই জলে ভেজা,
তাই হতাশা তাকে আর কি কাঁদাবে!
আধখানা চাঁদ দাঁড়িয়ে ছিল তোমার বাড়ির ছাদের উপর,
দেখছিল,ভাবছিল, ভাঙামন নিয়ে ঝড়ে ঝড়ে পরছিল।