শুধু তোমার চরণে লুটাই এ দেহ মন প্রাণ
পুষ্পমঞ্জরি ফোঁটাই ইচ্ছের বীনায় দিয়ে টান।
তোমাকে পাহাড়ারত রই ঘুমাইনা সহজে রাতে
ঘুমাইনা শিমুল তুলার বালিশে। যদি কারো আঘাতে
বুকে তেরো শত নদীর ঢেউ উদ্বেলিত হয়
ঘুমাইনা সহজে বুকে একই ভয় সবসময়।


বিধাতার দান আপাদমস্তকে মেখেছি জন্ম হতে
এ দেহ প্রাণ সদা সঁপেছি তাই দিয়ে নিজ হাতে।
সর্বশ্রেষ্ঠ যা কিছু আছে তুমি তাঁরই নিদর্শন
বিধাতা তোমায় এ আকাশে এঁকেছে সুদর্শন।
রাজকুমারীর মতো তোমাকে সাজিয়েছে সব দিয়ে
হিমালয়ের স্রোত যেন পারো যেতে বঙ্গোপতে নিয়ে।


গলায় দিয়েছে এক রাশি ঋৃতুর মালা ও মানচিত্র
বুকে দিয়েছে অসীম দুঃখকে বয়ে নেওয়ার কৃতিত্ব।
ঠোঁটে দিয়েছে দুঃখকে লুকোবার ক্ষমতা
কানে দিয়েছে এক মন্ত্র করছে সমতা।
হাতে দিয়েছে কৃষাণ-কৃষাণির শুকনা ঠোঁটের হাসি
কোমরে দিয়েছে মুত্তার বিছা ও রাখালের প্রিয় বাঁশি।
পায়ে দিয়েছে শঙ্খচিলের ছাপ, চুলে জুঁই ফুল
আর দিয়েছে একতা করেছে সাম্যতা দুকূল।


তবে মাথা!
মাথায় দিয়ে জীবনের গৌরব সব দিয়েছে জনতা
আরও দিয়েছে সত্যের গান চির অম্লান স্বাধীনতা।
হে আমার মাতৃভূমি, তোমাতে তাই মাথা লুটিয়ে যাই
গায়েতে মাখি কাদা জল, বাতাসে মুক্ত ঘুড়ি উড়াই।
           হাতে রেখে মানবতার নাটাই।