আজ বিকেলের শেষ ডাকে চিঠিটা
ডাক পিয়ন এসে দিয়ে যায়,
চিঠির খামটা এখনো হয়নি খোলা,
পড়ে আছে এখনো টেবিলের কোনায়।
খোলা হয়নি বললে ভুল হবে হয়তো।
খোলার আকাঙ্ক্ষা জাগেনি তাই।
প্রথমত চিঠিতে কি লেখা আছে,
সেটা আগে থেকেই আমার জানা।
চিঠির (খামটার) দিকে তাকালেই চিঠির ভেতরের
সমস্ত কথা যেন কানে ভেসে আসছে।
তাই নতুন করে আর জানবার ইচ্ছে নেই।
ঠিক যেমন দূর থেকে একটি বেলীফুল কে দেখলেও
তার সুবাস কিরকম, ঘ্রাণ না নিয়েই বোঝা যায়,
চিঠির ক্ষেত্রেও আমার ঠিক সেরকমই।


সমস্ত দিন জুড়ে আজ আকাশে
ঘোলাটে মেঘের আনাগোনা।
শ্রাবণের এই অঝোর বর্ষনের
যেনো বাঁধ ভেঙে যাবে।
হঠাৎ মেঘ এড়িয়ে দেখা -
শেষ বিকেলের সোনালী রোদ।
সোনালী রোদ, এই রোদের সাথে
ভারি সখ্যতা ছিলো তার।
যেনো,কোনো এক আসন্ন শেষ যাত্রায়
দিয়ে গেলো আবির রাঙ্গিয়ে।
চলে যায়, তবুও রঙের ছটা রয়ে যায়।


টেবিলে যে চিঠিটা রয়েছে পড়ে,
এটিই তার শেষ চিঠি।
আর কোনো দিন চিঠি আসবেনা,
ওরকম নীল খামে।
এটি তার দেওয়া শেষ চিঠি।
শুনেছি বেদনার রঙ নাকি নীল হয়।
আজ আমি সত্যিকারে বুঝলাম,
আজ বিকেলের ডাকে আসা
এই শেষ চিঠির বেদনায়।🥀


****************
রচনাকালঃ ২০ জুলাই, ২০১৯
                 ০৫ শ্রাবণ, ১৪২৬