মদের গন্ধ কখনো আমাকে মাতাল করেনি।
তবু তোমার দেহ সৌষ্ঠবে আমি হয়েছি মাতাল।
আঠারো বছরের এক পরিপূর্ণ যুবতি তুমি।
দেখলেই শরীরের কোথায় যেনো শিহরণ যাগে।
স্বপ্ন শিহরনে ভেঙ্গে যায় ঘুম বারে বারে।
হৃদয়ের বন্ধ দুয়ারে কে যেনো শিকল নাড়ে।
তবু বিবেকের বাধ ভাঙ্গিনা আমি।
দাঁড়িয়ে থাকি নিরবে বটবৃক্ষের মতো।
শীতল শরীর ঢেকে যায় উষ্ণতার আবরণে।
আর পারিনা, শিকলের ঝন ঝন শব্দে
আমার বুকে যেনো যুদ্ধের দামামা বাজে।
তবুও আমি স্থির, আমি শান্ত।
দাঁড়িয়ে থাকি চোখ বুজে।
সকল বিবেক, সকল আদর্শ
দানা বেধে উঠতে থাকে আমার বুকে।
মনের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে আবার
অষ্টাদশী এক নারীর নগ্ন ছবি।
বিজলির চমকের মতো আমার সর্বাঙ্গে
আবার জাগে শিহরণ। আর পারিনা...
ভরা নদীর উপছে পড়া পানি
আমাকে ভাসিয়ে নিতে থাকে দরজার পানে।
তৃষ্ণার্ত ঠোট দুটো খুজে পায় উন্মুক্ত সরোবর।
উষ্ণ হাতের চঞ্চলতা প্রথম অনুভবে আনে
মাতাল তরুণীর নরম মাংসের স্বাদ।
এ যেনো কোন সুডৌল দেহে
নিজেকে বিসর্জনের উলুধ্বনি।
এ যেনো আমার বিবেকের পরাজয়ের শঙ্খধ্বনি।