এ বিশাল বড়ো ধরণীতে —
          বলিতে পারি নিশ্চিন্তে।
যদি অবগত হোন
          আপনার মৃত্যুর ক্ষণ,
প্রথমে খুঁজিবে ঈশ্বর
          প্রিয়জনেদের অতঃপর;
পরপরই সঙ্গেসঙ্গে তাহাদের,
                    দ্বন্দ্ব-বিবাদে যাহাদের
করিয়াছো দূর — হইয়াছে পর
                ইহলোকে জীবন ভর।
তখন মার্জনা
        করিবে বাসনা ;
অমিত্র কেহ — অভিমানী কেহ —
                               শত্রু কেহ
এমনই কাহারো নিকটে
          নির্মলে জীবনের ইতি টানিতে।
অথচ এ মহীতে আপন গতিতে
             মৃত্যুরা আসে নীরবে নিভৃতে —
কেহ নাহি জানিতে পারে !
             জীবনের শেষ দ্বারে
ক্ষমা চাহিবার
        সুযোগ যে হয় না সবার।


হে অনাদি-অনন্ত পরমেশ্বর,
                       জীবনের পর
যা'রা পাপ সাথে লইয়া গেছে
            সুযোগ নাহি মিলিয়াছে
ক্ষমা যাচিবার,
         ক্ষমা দিও, হে উদার।
ক্ষমো হে মানব
        শুনে বিবেকের অনুভব।


যা'রা সেই দোষী জন
                  হয়নি মরণ —
ভুলোকে এখনও পদচারণা,
             তাহাদের ক্ষমা প্রার্থনা —
যেইসব নির্দোষীর কাছে
           বাকি পড়িয়া গেছে,
যদি সেইসব নির্দোষী
           অন্ধকার নিশি হাসি
সাথে লয়ে ইতোমধ্যেই চলে যায় পরপারে,
   তবে ক্ষমা গ্রাহ্য করিবার আর কেবা থাকিতে পারে?


১২ই মে, ২০২৩
বঙ্গবন্ধু হল, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়