—আচ্ছা তোমার হাত এতো কমল কোমল কেন!
তুমি কি পদ্ম?
—হাহা... ইদানীং বেশ কবি কবি ভাব।
—আমি ঠিক কবি নই;
তোমাকে আবিষ্কারের পর থেকে কেবল সকাল;
কলমের বনে ছোটো চারা গাছ।
আচ্ছা তোমার হরিণ চোখে এত মায়া কেন!
তুমি কি এমনই মায়াবিনী?
—না। শুধু একজনের কাছেই...
—নিগুঢ় রহস্যের মনালিসা।
—আমি নিমরাজি।
—তাও উদ্ধৃতির ভাল ভালো।
রোজ সায়াহ্নে স্মৃতি তোমার কেন হেঁটে বেড়ায় হৃদয়াঞ্চল!
আর পায়ের গভীর ছাঁপ রেখে যায় আমার বুকের পলিল অববাহিকায়।
তুমিই কি সেই স্মৃতিজাগানিয়া?
—না। কখনও নইতো!
—তুমি বড্ড নতুন বউ! লজ্জায় টকটকে কপলাদল।
—হাহা... তা—ই?
—লজ্জাবতীর দেহ কত হিমেলানিল ছোঁয়,
মধ্যবিত্তের চুমো খায় গালে;
আলতো স্পর্শের আনুভব বিশাল শিহরণ তার কাছে কুমারীর মত, নারীর মত!
তবে তীব্র স্পর্শ যেন নির্যাতন;
তারাহুরু গুটিয়ে নেয় নিজেকে।
তুমিও কি লজ্জালতার বেগুনী কুসুম?
—তাও নই।
—তোমার কাজল যেন অন্ধকার কৃষ্ণগহ্বর,
অর্ণবাঁখি বনলতা, মুখাবয়ব রূপসী বাংলা।
জাতিস্বর হই বা না হই,
জন্মান্তরেও তোমার বুকেই ফেরার স্পৃহাসিন্ধু!
তোমার অপরূপ অপ্সরা রূপ দেখে আমি আর নার্সিসাস নই।
তুমিই কি মহাকাব্যের তিল তিল করে গড়ে তোলা তিলোত্তমা?
—নাহ। আমি তাও কখনও নই।
—তবে কে তুমি? কী পরিচয়?
—আমি! হাহা… তোমার শয়নে—স্বপনে—জাগরণে বিমুর্ত ছবির কথামালা;
তোমার বুকের লিটলম্যাগে ছাঁপানো প্রথম কবিতা।।


20 September, 20
হালুয়াঘাট