যেমনটা সন্ধের ফুল।
যেমনটা  পুজোর শেষে প্যান্ডেল।
যেমনটা ছিঁড়ে যাওয়া অনাজ রাখা পলিথিন।
ঠিক যেমনটা  পকেটে থাকা  গতকালের টিকিট।


কেউ ফিরেও চাইছেনা!
কেউ ছুঁয়েও দেখছেনা!
কেউ যাচাই করছে না !


কি অদ্ভুত!
আমার এই অস্তিত্ব।


খুব ভোরে জেগে দেখি
তোমায় আমি আঁকড়ে আছি
শীতের কুয়াশার মত
ঘাসের পাতার উপর।


সিক্ত হাওয়ায় কাঁপছে নিলয়
খালি পেটে, আশ্বিনের নেশায়
যেনো সমান্তরালে বইছে রক্ত
মাকড়সার বুকের ভিতর।


সারাটা জীবন ধরে
কদম গাছের ডালে
কাটাইলাম বাদুড় হয়ে।
আর আজ এই শেষ বেলায়
শুধুই জিজ্ঞাসা বোধহয়
সস্তায় বেচে এলাম সেই প্রাণ।

কাক পক্ষীও পাইলোনা টের!
তোমার আমার জীবন রসায়ন।
যেমনি উবে গেল প্রাণের কর্পূর
বালির ভেতর জলে হারালো
আমাদের সৃষ্টির অনুরন।


আমি এখন অন্য অক্ষে।
এইখানে বাঁশ বাগানের গান আছে ।
সাদা রঙের কৌটো আছে।
নূপুরের শব্দ আছে।
তবু ভূত হওয়ার পাগলামী আমার নেই।
আমার অন্ত্তর আত্মায়
এখনও ঢেকে আছে মাছের আঁশ।


শুধু মনেহয়,
যদি আর একটু বসে, তারে ডাকি আপন করে।
একটু নিশ্বাসে, আর একটু সবুজে।
যদি পারি আর একটা গল্প লিখে যেতে।


শুধু মনেহয়,
জোনাকির রাতে, যদি আর একটু বাদে
একপা মাটিতে, আর এক দিন শরৎ  সকালে
যদি পারি ছুঁতে, পঙ্কিল - তোমার বন ফুল।


শুধু মনেহয়,
যদি পেতাম
আর একটা জীবন দান।


ভাঙ্গা পাখনায় আর গাইবো কত
ফুটবে চাঁদ, বাজবে বাঁশি
দুইহাত তুলে করি আশীর্বাদ।


সপ্ন, স্বপ্ন আর স্বপ্ন
আমার তো শুধুই
অভ্যেসটাই সার হলো।