শত সহস্র গাছেদের পাতার ফাঁকে ফাঁকে হাসে চন্দ্রবতী,
ঝাউবন, কাশবনে জড়ানো পাহাড় কোলে হাসে জ্যোৎস্না রাত্রী।
আসে নিশীথ রজনীর মাঝে বনকন্যার গা থেকে হিম স্নিগ্ধ সুবাস,
মুক্ত শীতল বাতাসে মুক্তির গান গাই যেন মুক্ত তারার আকাশ।
সেই অপরূপ রহস্যময় রাত্রিতে ভেসে আসে বন্য শেয়ালের ডাক,
ঘাসেদের আশেপাশে বিন্দু বিন্দু করে জ্বলে জোনাকির ঝাঁক।
কিঞ্চিৎ আলোয় অন্ধকার মুছে হয় প্রভাত,
খরতর রোদে, প্রকৃতি বুকে দুপুর বেলায় হয় যেন এক উন্মাদিনীর আবির্ভাব।
তবে যুগের পরিবর্তনে, আছে কী আজও সেই বনকন্যা পুরোপুরি বেঁচে?!
নিস্তব্ধ বনকন্যা আজ আহত দূষণে মোড়া কংক্রিটময় শহরে।
মানুষের প্রয়োজনে মানুষের হাতে প্রকৃতি পরিণত হয়েছে আজ বিস্মৃত প্রায় প্রান্তরে,
বনকন্যার মধুর ডাকে আর কী হারাবে এই মন দূরবিসর্পী অরণ্যে?