নিঃসঙ্গতায় রয়েছি আমি কয়েকটি বছর।
গুনছি আমি প্রতীক্ষার যন্ত্রণাময় প্রহর ।।
হ্রদয় থেকে ঝড়ছে অদৃশ্য রক্ত অবিরত ।
তবুও আমি আছি তোমারি অপেক্ষায় দিনরাত্র ।।
মোহাবশত হয়েছি যে আমি পশুহ্রদয় ন্যায় ।
ক্ষণিকের বিজয় দিয়ে শান্ত করেছি এ হৃদয় ।।
তোমার পুত্র আমি হে মাতা রুদ্রাক্ষত্রিশুলধারিণী ।
তোমার মমতাভিক্ষায় আমি,হে জগতজননী।।
যে দায়িত্ব দিয়েছিলে তুমি তা করিনি পালন।
তাই বেচেঁ থেকে নরকাগ্নি করছে আমায় দহন ।।
আর না পারি সইতে চিত্রগুপ্ত রচিত নরক যন্ত্রণা ।
এবার তোমার পুত্রকে করে দাও মাগো ক্ষমা ।।
প্রতীজ্ঞা করছে তোমার অধম এ পুত্র ।
কাম,ক্রোধ,লোভকে সর্বক্ষণ রাখবে সদা নিয়ন্ত্রিত ।।
পরিণত করব আমি এ ধরণীকে যে স্বর্গপুরী ।
সেই স্বর্গের একমাত্র রাণী হবে তুমি জগদ্ধাত্রী ।।
তোমাকে রক্ষার্থে পিণাকহস্তে পুত্র প্রভাকর তোমার ।
ক্ষত্রীয়কর্মে অবিচলিত বিপদমুক্ত রবে ধরীত্রী স্বর্গদ্বার।।
সঙ্গীত সাধনা হবে আমার ভুবন ।
সুর দিয়ে পূজিব তোমার শ্রীচরণ ।।
কাব্য হবে আমার যজ্ঞ ।
আবৃতি দিয়ে করব আমি সাধন সম্পন্ন ।।
তোমার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হব না আমি আর মাগো ।
আমায় ছেড়ে যেওনা,আমার পাশে থেকো ।।