আলো আর দাবানলের প্রভেদ বোঝোনা তুমি।
কেইবা বোঝে এই অগ্নিকুণ্ডের কিনারে ঘর বেঁধে?
রোবটিক হাতে গুঁড়িয়ে শান্ত পাহাড়
খুবলে নিয়ে মৃত্তিকা জননীর জঠর
গড়ে চলো ইমারত।
পাঁজর ভাঙ্গার শব্দ শুনে
প্রতিদিন ভেঙে যায় ঘুম।
প্রেম আর ক্ষমতার প্রভেদ জানোনা তুমি।
কেইবা বোঝে এই ধূসর নীলিমায় ঘর বেঁধে?
অগণন ক্ষত পুঁজ দুর্গন্ধময় জ্বলন সর্বত্র,
করোটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে ঘিলু,
হৃদয় পিণ্ড ক্লান্ত কামারের হাপর,
ফুসফুস অনাহার ক্লিষ্ট ভিখিরির ব্যাগ।
প্রাণ আর জীবনের প্রভেদ বোঝোনা তুমি।
তোমার ক্ষমতার মহাপাপে ধুঁকছে সসাগরা মা,
অন্তিম আলোয় কেবল দিগন্তের শীতলতা খোঁজে।