"একদিন,
এক টুকরো মেঘ সাগরকে ভালোবেসে একফোটা জল দিতে চেয়েছিলো_
কিন্তু,
অতল জলধি তা কোথায় রাখবে?
তার তো আর জলাভাব নেই।
তাই সমুদ্র,
মেঘটির ভালোবাসাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে ফিরিয়ে দিয়েছিল।
মেঘ তখন শরতের টানে ভাসতে ভাসতে বলছিল, "আমার আছে বুকভরা চাপা কান্না, তাতে তোমার কি আসে যায় !"
এদিকে সাগর জবাব দেয়, "আমার কান্না তো প্রত্যক্ষ,
তোমার একফোটা জলই পাছে বেশি হয়ে যায়।"
শরতের টানে বিরহী মেঘ ভাসছে,
বুকভরা চাপা কান্না চেপে রেখেই।
ভাসতে ভাসতে হঠাৎ
আরেক বিরহীর সাথে দেখা,
পাহাড়।
পাহাড়ের দুঃখ পৌনঃপুনিক;
অতীতে, ভালোবেসে অনেক বিরহী মেঘকেই বুকে জড়িয়েছে
কিন্তু ধরে রাখতে পারেনি
কান্না হয়ে ঝরে গেছে।
এই একটুকরো বিরহী মেঘকেও
সে বুকেই জড়িয়েছে।
এই ভালোবাসা,
এটা ক্ষণকালীন।
টুকরো মেঘ,
পাহাড়ের কান্না হয়েই ঝরে গেল।"
এটা সত্য উপমা ছিল।
হ্যাঁ, ঐ একদিনের জন্য আমি কবি পাহাড় হয়ে গিয়েছিলাম,
আর মেঘটি ছিল একজন অপরিচিত মেয়ে।
জানালার ক্লান্ত কাচের গায়ে
মুখ ঠেসে হঠাৎ করেই বলেছিলাম- "অবশেষে
সে পাহাড় ছেড়ে চলে গেল!
পাশে বসা আমার বন্ধু হেসে বলে- তুই পাহাড়ের প্রতিনিধি নাকি?
মৃদু হেসে আমি,
আমিই পাহাড়।
-দোস্ত, মেঘটি এখন কি ভাবছে, জানিস?
-কি ভাবছে?
-ভাবছে,
মেঘটি আর কোনদিন সমুদ্রের ঢেউ গুনতে যাবে না।
পাহাড় তাকে ছেড়ে দিলেও,
আজীবন সে পাহাড়ের হাত ধরেই হাঁটবে।
পাহাড়ই তো তাকে বুঝিয়েছে,
জীবনের আসল মানে টা কি।
সে আর কোনদিন সমুদ্রের কাছে ফিরে যাবে না,
সে সবসময়ই পাহাড়ের সাথেই থাকবে।
-তারপর?
-আর সেও জানে পাহাড় তাকে খুব ভালোবাসে।
-হ্যাঁ, আমি এখনও তাকে অনুভব করি।
একদিনের ব্যাপ্তিতে আর কতটুকুই পরিচয়!