কি এক দারুণ, অনাকাঙ্খিত অভিপ্রায়ে তোমাকে
জাপটে ধরে বেঁচে আছি, হে মানচিত্র!
তুমি চাইলে, আমাকে আশ্রয় দিতে পারো তোমার
শ্যামল বুকে চরম মমতায়, অথবা হাত পা বিচিত্র
কোন জিঞ্জিরে পেঁচিয়ে গলায় কলস বেঁধে
ভাসিয়ে দিতে পারো খরস্রোতা কোন নদীতে
অথবা ফেলে দিতে পারো হতাশার দূর্বিপাকে
কিম্বা কাঠফাটা চৈত্রের অগ্নিঝরা খর পরিস্থিতিতে।
চাইলেই তুমি বিছা হিসেবে কাখে জড়াতে পারো
অথবা ঘুঙুর বানিয়ে পরতে পারো পায়
তারপর নাচতে পারো বিশ্বমঞ্চে এবং শেষে ছুড়ে
ফেলে দিতে পারো বর্ষা সৃষ্ট আর্দ্র নর্দমায়।
স্বেচ্ছায় গোলাম আমি, নতজানু তোমার পদচিহ্নের পর
ইচ্ছে হলেই পুড়িয়ে ধোঁয়া ধবল মেঘ বানাতে পারো আর
শোভিত করতে পারো শরৎ হিসেবে তোমার আকাশ
বিশ্বাস করো, তুমি ছাড়া মৃত্যুতেই আসক্তি আমার।
যখনই ক্ষুধা পায়, ধৃষ্ট ভিখেরী আমি তোমার দোরে
নিরবিচ্ছিন্নভাবে চেয়ে থাকি হাত পেতে, তুমি
ধান্যগর্ভা স্বয়ং হেমন্ত তুমি, হাস্যোজ্জ্বল নবান্ন তুমি মাতঃ
তুমি চাইলেই, আশ্রয় দিতে পারো পায়ে, হে আমার জন্মভূমি।


কি এক দারুণ শিল্প-ভাষ্কর্য তুমি, অদ্যপান্ত যেখানেই
দেখি কারুকার্য যেন জ্যোতির জৌলুস, তাবৎ সুন্দর
লুটে আছে তোমার চরণে, কেবলই শ্রেষ্ঠ তুমি
রাণী তুমি, মুগ্ধ সৌকর্য তুমি, প্রতিমা তুমি সব সৌন্দর্যের উপর।


তুমি চাইলেই, চরম মমতায় আশ্রয় দিতে পারো আমাকে
বিশ্বাস করো, হে মাতঃ কেবলই ভালোবাসি তোমাকে ।