-৩০ আগস্ট ২০১৭


আমি কবিতা লিখলে, যদি
আমার ভাইয়ের শরীর থেকে আর রক্ত ঝরত না
তবে আমি সারাদিন কবিতাই লিখতাম।


আমি কবিতা লিখলে, যদি
আমার বোন কে আর লাঞ্ছিত হোতে হোতো না,
তার ছোট মেয়ে টি কোলে নিয়ে জীবনের জন্য দৌড়াতে হোতো না,  
তবে আমি সারাদিন কবিতাই লিখতাম।


জানি আমি কবিতা লিখলে কিছুই বদলাবে না
বদলাবে না,  কারণ আমার জানা নেই,
যদি বদলাতো তবে আমি সারাদিন কবিতাই লিখতাম।  


আজ যদি তোমার শহরে আগুন জ্বলত,
তোমার মা বাচাও বাচাও করে চিৎকার করত,  
তুমি কলম ধরতে,  তোমার কলম বিজয়ী হোতো
কিন্তু আমার কলম হোল না
হোলে সারাদিন আমি কেবল কলমই চালাতাম।


আমি কবিতা লিখলে কিছুই বদলাবে না
সিরিয়া মানুষ বাঁচবে না,
বাঁচলে আমি তাই লিখতাম।


আমি কবিতা লিখলেও
সমুদ্রে আমার ছোট ভাইয়ের লাশ ভাসবে
রোহিঙ্গা নামে মানুষ গুল জংগলে অপেক্ষা করবে
যদি একটু জায়গা মিলে,
নিজের জন্য না হোক ছোট ছেলেটার বা মেয়েটার যদি জীবন বাঁচে।


না,  আমার কবিতায় কিছুই বদলাবে না
বদলালে আমি দুই ছত্র নয়,  হাজার ছত্র লিখতাম,
সকাল থেকে সন্ধ্যা, পূর্ণিমা কিংবা আমাবস্যা
আমি কেবল কবিতা লিখতাম।


বহুবার আমি লিখেছি
আফগানিস্তানে তবুও আমি আমার ভাইয়ের রক্ত দেখেছি,
দেখেছি ইসরাইলে সন্তান কে কোলে নিয়ে থাকা বাবার লাশ,
যদি আমার কবিতা এসব বন্ধ করতে পারত,
তবে আমি কেবল কবিতাই লিখতাম।


আমি কবিতা লিখলে কিছুই বদলাবে না
তবুও দুই ছত্র লিখছি, যদি
চেতনা জাগ্রত হয়
যদি আমার ভাই, আমার বোন বাঁচতে পারে
রোহিঙ্গা নয়,  তাদের মানুষ বলে ডাকা হয়
সিরিয়া নয়, ফিলিস্তিন নয়
পৃথিবীর আর কোথাও তাদের রক্ত আর না দেখা যায়।