বাবা তোমায় নিয়ে কবিতা লেখা
হোল না।


আমার ডায়েরির শত পাতা ফুরায়,
প্রেমিকার বন্দনায়;
তবুও তোমায় নিয়ে এক ছত্র লেখা
হয়ে উঠে না।


মধ্যরাতের নিরজন অন্ধকারে
আমার কবিতার ছন্দেরা অবরোধ করে;
চেয়ে পথ শিশুর অধিকার।


ছন্দেরা করে হুংকার;
করে চিৎকার,
দেখিয়ে দেয় পাশের বাড়ির বৃদ্ধের জীবন ভার।
অথচ আমার তোমার জীবন দেখা
হোল না।


আমিও একদিন বাবা হব,
তখন বুঝব, কি করে এত কষ্টেও যেত হেসে;
তখনের কথা ভেবে এখনি আমার কান্না আসে।
তবুও তোমায় নিয়ে কবিতা লেখা
হোল না।


বাবা, তোমায় নিয়ে কবিতা লিখব,
যখন আমি বাবা হব।
তাই কিছু পাতা বাঁচিয়ে রাখলাম
বাঁচিয়ে রাখলাম কিছু কালি।


কিন্তু তোমায় নিয়ে কবিতা লেখা হবে তো;
নাকি পাতা গুলো পরেই রইবে খালি।
নাকি তখন আমার পাতা গুল ভরবে;
তোমার মত সন্তানের বন্দনায়।
শত দুখে তখন আমিও যাব হেসে।


আসলে বাবাদের নিয়ে কবিতা লেখা
হয় না।