কুসুম বাবু,
এক বেসরকারি অফিসের ভৃত্য
অর্থনীতির কোটায়, সে মধ্যবিত্ত,
বছরে-বছরে বাড়ে, সরকারি চাকুরের মাহিনা
যুগ গেলে পেরিয়ে, তার তো বাড়ে না দক্ষিণা,
বরং যত যায় দিন
বাড়ে শুধু ঋণ,
রিকসা ওয়ালা বলে
আজকে, ভাড়া টা একটু বাড়িয়ে দিন
এইভাবেই তার দিন চলে
কতবার সে বলেছিল, অফিসের বাবুরে না-না কৌশলে,
এইবার প্রোমোশন যদি মেলে ।


আবার এসেছে নতুন বছর
বেড়েছে বেতন সবার,
কারো দুই গুন কারো আবার দেড়,
দোকানে, দোকানি বলে
আর দিব না বাকি ফের,
তবুও তার দিন চলে ।


এই তো সেবার
বসের মেয়ের জন্ম দিনে,
তার অর্ধাঙ্গিনী, কার গলে দেখেছিল এক হাড়,
তাহার বায়না, যেমন করেই হোক দিতে হবে কিনে
ধারে কিংবা ঋণে,
ভাঙ্গিয়া স্বপ্ন সাধের দুই চাকা-র
করিয়া পকেট ও ব্যাংক ফাকা,
কিনিয়া আনছিল হাড়
এমনি করে হচ্ছে জীবন পার ।।


ছেলে-মেয়ে রা হচ্ছে বড়
পড়া-লেখায় টাকা লাগবে আরও,
ঐ দিকে তার চাকরি গেল
হয়েছে দিন বারো,
এমনি করে গেল আরও কিছুদিন চলে
ভাবছে সে কিভাবে চলবে সংসার
চাকরি না পেলে .।।


ছোট কাজ করিতে না-পারি,
বড় কাজ না পাই
যত-ই বা চাই ।।


এমনি করে কসুম বাবুর
দিন যায়
তার নাম আছে এখনো মধ্যবিত্তের খাতায় ।।


হঠাৎ করে হইল অসুখ, অর্ধাঙ্গিনী-র
ভাবিয়া সে আকুল, কি করিয়া ওষুধ-পথ্য আনি,
সেই অসুখ ছাড়িল না আর
ধ্বংস হইল সুখের সংসার
সত্যি বলতে মধ্যবিত্তের, বাঁচা বড় ভার ।।