আমার চোখে স্নান করে তুমি যখন তোয়ালে জড়িয়ে বেরিয়ে আসতে!
আমি আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে থাকতাম তোমার দিকে!
তোমার আকস্মিক আগমন আমাকে আনমনা করে নিয়ে যেত ভাবনার জগতে,
যে জগতে আমার পুরোটা জুড়ে ছিলো শুধু তুমি আর শুধু তুমিই।
একলা মায়ার স্বর্গরাজ্য আর একটা ফুটফুটে রাজকন্যা!
স্বপ্নের জড়াজড়ি যেখানে সেখানে প্রণয়ের আস্ফালন নিরোর্থক।
আমি সেই সব মুহূর্ত্বদের ঘৃণা করি যেগুলি তোমার উপস্থিতির জানান দেয় না।
আমি সেই সব স্মৃতিদের ঘৃণা করি যেগুলি আমাকে তোমার হৃদয়কুহক থেকে দূরে রাখে!
আমি সেই সব ভাবনাদেরও ঘৃণা করি যেগুলো তোমাকে ঘিরে আবর্তিত হয় না।
নিশ্চই মার্ধ্যাকর্ষনের মতো কোনো আকর্ষণ আছে তোমার চোখে !
নাহলে বার বার এই দুচোখ কেন শুধু তোমায় দেখতে চাই?
আমি অনেকবার তোমাকে মায়াবী ভেবেছি!যারা সহজেই পুরুষকে তৃষ্ণার্ত করতে পারে।
অথবা রামায়ণের যুগের কৃষ্ণমৃগ, যা আমার হৃদয়ে যুদ্ধের সূচনা করেছে।
আমি কোনো কল্পরাজ্যের রাজকুমার নয়,আমার রাজত্বের বিস্তার শুধু দুজনেই।
যদিও রাজ্যের রাজকুমার নিজেকে দাবি করছি,কিন্তু রাজ্যের দায়ভার তার হাতেই!
তার অধীনস্থ হওয়াতে আমার পুরুষত্বের গরিমায় কোনোকালেই কলঙ্ক লাগেনি।
আমি তাকে ভালোবাসি,আমি তার ভালোটাকে ভালোবাসি,তার মন্দ্টাকেও ভালোবাসি!
আমি জানি সে সম্পূর্ন না আর আমিও সম্পূর্ণ না, কিন্তু আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।
ভালোবাসার গুপ্তধন তো মনে সঞ্চিত থাকে,তার ডাকাতি শুধু মনের মানুষই করতে পারে!
ভালোবাসা কখনো শারীরিক নয়! শরীর তো ধর্ষক ও ছোঁই!কিন্তু সে প্রেমিক নয়!
কারন প্রেমিকের অবাধ আনাগোনা তো প্রেমিকার মনে!প্রেমিক মন ছুঁতে পারে!
যেমন করে অলির কুঞ্জনে নব যৌবনা ফুলের কুঁড়ি উতলা হয়ে ওঠে,
যেমন গ্রীষ্মের বুকে মেঘেদের আনাগোনা চাতক কে মাতাল করে তোলে!
প্রেমিক ও যদি প্রেমিকার চোখে সেই মাদকতা অনুভব করতে পারে,
তবেই পূর্ণিমার আলোর জোয়ার ছাপিয়ে শোনা যায় কোকিলের কন্ঠ।
হৃদয় তাছরূপের দায় যার কাঁধে তার কোনো নিস্তার নেই!
কারন দিন শেষে হৃদয়ের তহবিলের হিসাব তাকে মেলাতে হবেই।
তাই প্রেমিক হও!এই মহাবিশ্বে প্রেম যেমন বিরল,তার থেকেও বিরল হলো প্রেমিক!
তাই পারলে বসন্তে পাতা হারানো গাছটার নীচে দাঁড়িয়ে প্রেমিক হও।