শিবকে বিয়ে ,হ্যাঁ রে সতী কেমনে করিস ?হুর!
গাঁজা খেয়ে ও অভাগা নেশায় থাকে চুর,
তুই ,রাজার মেয়ে,রাজকন্যা পরিস সোনার মালা
ওই মহাদেব,সর্বহারার ভস্ম নিয়ে খেলা
ওই শ্মশানে তুই অভাগী কিসের তরে যাবি,
ভাবনা কেন? ওর থেকে তুই অনেক ভালো পাবি


তোর মনেতে ওই বিবাগী,সদাই আঘাত হানে।
রাত দিনেতে, তবু তাকে আগলে রাখিস প্রাণে,
মহাকালের কাল নজরে প্রত্যহ তুই জ্বলিস
জ্বলার কারন জেনেও তারে আপন কেন বলিস
শর্ব ক্ষনি ভোলানাথের বিষের দহন সয়ে
কেন কালি রূপে অস্ত্র ধরিস ছিন্ন মস্তা হয়ে।


ভবানী তুই ভবের ঘোরে অনীশ্বরের স্বপ্ন বুনিস
পরমাত্মার অনঘ রুদ্রে সর্বজ্ঞতার কাল গুনিস
ওই কৈলাসবাসী ,জটাধর,কবচীর কঠোর মনে
না আসে খেয়াল,তোর ভাবিনী, হোথায় কোনক্ষণে
তুই ই বৃথা পুড়িস নিজে,সহিস শত জ্বালা!
ওই কামারী,সুরসুদনের সহিস অবহেলা।


সোম সূর্য অগ্নি লোচন,স্বরময়ীর সুরের টানে
ভর্গ হবি, ভুজঙ্গভূষন,গিরীশ্বরের গল্প শুনে।
শিব শম্ভু মহেশ্বরের বিরূপাক্ষে আটকে গেলি
শূলপানীর শিতিকণ্ঠে আঘাত ছাড়া আর কি পেলি
দিগম্বর সে নগ্ন থাকে ছাই ভস্মে লিপ্ত
যতটা সে অধপাগলা,ততটাই সে ক্ষিপ্ত।


শ্রীকন্ঠ শিবাপ্রিয় গঙ্গাধরের মৃগপানি
গিরীশ হয়ে গিরীশ্বরের বক্ষমাঝে বজ্রহানি।
পশুপতি অনন্ত সে, সাত্বিকতার ভীষন নাদে
কেমনে থাকবি হ্যাঁরে সতী সুরসুদনের জীবন খাদে
রাজবিলাসের বিলাসিতায় মগ্ন থাকা জীবন খানি
কিসের তরে ওই শশ্মানে থাকবি গিয়ে নারায়ণী।


কিসের লাগি অবগ্রতায় মগ্ন থেকে তারে পুজিস
অব্যক্ত উগ্র ব্যাথায়! পরমাত্মায় তাকেই খুঁজিস
বিরভদ্র জগদ্ব্যাপী,রুদ্র লীলায় মগ্ন থাকে।
পাগল যে সেইতো কেবল শাশ্বতকে আগলে রাখে,
কৃত্তিবাসা পুরারাতি সহস্রাক্ষের নেশার টানে,
অনেকআত্মায় ভগবান পায়? সামপ্রিয়ের কোরাস গানে


যজ্ঞময়ের যজ্ঞ সুধায় আগুন হয়ে জ্বলবি যতি
খটবাঙ্গির গিরিধন্বায় পুড়বি তুই সূর্য ভাতি।
হায়!ভূপতি বুঝলি নারে সূক্ষ তনুর ব্যোমকেশেতে
ডুবলি নিজে ও ভুতপতি জগদগুরুর চরণ হতে।
ভুজঙ্গভূষণ মৃত্যুঞ্জয়ীর,চারুবিক্রম স্থাণু পদে
কেমনে তারে বসাবি সতী তোর হৃদয়ের তারক হ্রদে


শূলপানির সিপিবিষ্ঠে ঝর্না হয়ে ঝড়বি তারা
নিললোহিত বামদেবের ক্রোধ অগ্নি বাঁধন হারা
শঙ্করের ভব রোষে ত্রস্ত থাকে বিশ্ব জ্ঞাতা,
সদাশিবের স্ত্রী হবি?কি ছলনা হায়! বিধাতা
প্রমথাধিপের ছলে ভুলে আগুন মাঝে হাঁটার লাগি
বাপকে কাদাস,এ জীবনে বুঝবি কবে রে অভাগী


বৃষাঙ্কে বৃষভারূঢ় বিজয় গাঁথার স্মৃতি মাঝে
লুপ্ত হবি পবন ভাতি,ক্ষুব্ধ ব্যথায়, সুপ্ত লাজে
ত্রিপুরান্তক ভীম হয়ে পরশুহস্তে রুদ্র রূপে
হানবে আঘাত কোমল মনে সইবি তুই কেমনে চুপে।
ত্রিমুর্তির হিরণ্যরেতায় চক্ষু মাঝে স্বপ্ন আসে,
ক্ষনেক শেষে আঁধার নেমে নীরবতায় স্বপ্ন নাশে।


পূষদন্তভিৎ,দক্ষাধ্বরহর নাশবে তোরও জীবন চিতা
সুখ কি শুধু পাওয়ার মাঝেই?না পাওয়াতেও হয় কবিতা।
খণ্ডপরশুর মেকি মৃডে যুঝলে যাবি অস্তাচলে
বুঝলে অজ মৃত্যু মহান,দিনান্তের স্বপ্নদলে।
মহাসেনজনকের সূক্ষ্মতনুয় মৃত্যু কেবল অমরকথা
অহির্বুধ্ন্যর চারুবিক্রমে ব্রহ্মচর্যই অমোঘ প্রথা।


ভগনেত্রভিদ্ শুদ্ধবিগ্রহ ,তবুও তার দিকে আঙ্গুল তুলি,
শশ্মানচারী ও অযোগ্য তোর,এই কথাটা কেমনে ভুলি।
হরি হরের সহস্রপদে পরলি কেন বংশ ভুলে?
অপবর্গপ্রদের দয়ার বাঁচবি,কলঙ্ক তুই রাজকুলে।


যা চলে যা ফিরিস না আর ভাববো সতী মরে গেছে,
শত শাখা টুটলেও বৃক্ষ ,না ঝুকে সে একাই বাঁচে।