আমি সীমানায় বাঁধা থাকতে চাইনি কোনোদিন,
সর্বদা অসীমকে আলিঙ্গন করতে চেয়েছি!
কখনো মিঠে রোদ্দুর হতে চেয়েছি!কখনো বা বসন্ত।
কখনো মাঠ ভর্তি বুনো ঘাস হতে চেয়েছি!আর কখনো অভিমান!
তোমার ,আমার জীবনে আসাটা অনেকটা কালবৈশাখীর মতো!
অথবা পাতা ঝরা মহুয়া গাছে প্রথম জন্মানো সবুজ পাতাটার মতো।
আমি ক্রমশ মায়ায় আছন্ন হয়ে পড়েছিলাম!
তোমার মায়াবী কথার,তোমার ঢেউ খেলানো চুলের!
তোমার বাঁকা চাহনির,তোমার অপরূপ রূপের।
তোমায় ভালো বেসেছিলাম,জীবনের সীমাবদ্ধতাকে তুড়ি মেরে,
মনের কোনে জমিয়ে রাখা নরম ইচ্ছেটাকে আকাশ ছুঁয়াতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু
যার ব্যাপ্তি অসীমকে ছুঁয়েছে, তাকে সসীম করা তো অসম্ভব,
গন্তব্যের জন্য আকুলতা তা স্পর্শের পর কতক্ষনই বা স্থির হয়..
প্রাপ্তির সসীমতা কে এই জীবন মানতে পারেনি তাই বিচ্ছেদ এলো!
নিকষ কালো সেই বিচ্ছেদ,মানব মনের ধুসরতাকে যা স্পর্শ করে,
সুমুদ্রমন্থনের গড়লের থেকেও শতগুন বিষাক্ত ছিল সে বিষ!
দক্ষের যজ্ঞান্তে সতীকে ভুজঙ্গে তুলে নটরাজের তান্ডব নৃত্যের বীভৎসতা..
সমগ্র সৃষ্টিকে সন্ত্রস্ত করে তুললেও তার বুকের গহীনে জমা বিচ্ছেদ কান্নার,
অসীম সুমুদের এক বুঁদ ও কি কেউ গ্রহণ করার সাহস রাখে?
ভালোবাসায় বলি হওয়া প্রেমিকের কথা ইতিহাসে সব থেকে অবহেলিত!
প্রেমিকের বুকের ভালোবাসাকে যোগ্যতার যুপকাষ্টে এই সমাজ,
বলি করে এসেছে সেই প্রস্তর যুগ থেকে,আশা রাখি
শীতের হিমেল হওয়াকে পেছনে ফেলে বসন্ত আসবে,বসন্ত আসবেই।।