সকাল থেকে কি কি গেলো দেখতে তরিঘরি
কালকে রাতে আমার ঘরে চোর দিয়েছে হানা
খুঁজতে গেনু, চমকে গিয়ে মাথায় দিলাম হাত
ঘর থেকে চুরি গেছে,"শখের" সোনার কলম খানা।


তিলে তিলে জমিয়ে টাকা কিনেছিনু সেটা,
কত জ্ঞান,পড়াশুনা ঝুলিয়ে পরে গলে,
বিরুদ্ধতায় কাটছিল দিন আলমারির ওই তাকে
কি অভাগ্যে!পড়লো সেটা চোরের রোষানলে।


কিন্তু বিষয় ওইটুকু না বিপদ বড়ো গভীর
এরই মাঝে লুকিয়ে আছে জটিল এক ধাঁধা
প্রসন্ন হয়ে ব্রহ্মা মোরে  দিয়েছিল বর!
কলম খানি থাকলে হাতে আর রবে না বাধা।


সেই জোরেতে লিখেছিনু বন্ধু তোমার কথা,
উপেক্ষা করে রাজা মন্ত্রীর রক্তের হুংকারী
মৃত্যু মিছিল পেরিয়ে এসে থমকে হলাম শেষ
কাল রাতেতে চুরি গেছে আমার,শখের তরবারি।


যা লিখি তাই বদলে যায় রাজার তোষামোদে,
চাইলেও মন লিখতে নারি তোমার জন্য ছড়া,
লিখতে গেলেই ওপর থেকে আদেশ আসে ফের
গোলার আগে ভেঙে গেছে শখের শিরদাঁড়া।


বাচ্ছা মেয়ে ধর্ষিত হয় চৌরাস্তার বাঁকে,
ধর্ষক যখন রাজার লোক সব চুপটি করে রই,
আমার কলম সেই ক্ষনেতেও অন্ধ হয়ে থাকে
শান্তনা দিই থাকলে শরীর এমন একটু হয়।


কারো স্বপ্ন হচ্ছে চুরি সদাই কোনোখানে
জ্ঞানের শিখা ঝিমিয়ে গেছে অবহেলার ফাঁকে,
আমি ভয়ে বলতে নারি পরজীবীর মতো
ময়ূর থাকতে "সেরা পাখি"র শিরোপা নেয় কাকে।


সোঁদা মাটির গন্ধে মেশে কীটনাশকের দল
রথের চাকা আটকে যায় জমে থাকা লাশে
বেকার যুবক হেঁটেই চলে গন্তব্যের লাগি,
রাজার তখন রোমাঞ্চ লাগে নিষ্ঠুর সন্ত্রাসে।


বাড়ির ছেলে ঘরে ফিরেনি আজ দুইদিন হলো
কার কাছে যাই?কাকে বলি? কেউ শোনেনা কথা!
আমিও বুঝি সব কিছুই,তবু জোয়ান টানি কাঁধে
রাজার জন্য শাওয়াল করি যেমন যথা তথা।।


ইচ্ছা করেনা এমনটা না কি করবোই বা একা,
বুকের ব্যথা বুকে নিয়েই জ্বালায় বাতি প্রাণে..
হয়তো আবার কোনো ক্ষণে কলম পাবো ফিরে
সেদিন রাগে গর্জে উঠবো মানুষ পোড়ার ঘ্রানে।