বুঝলো না এ গ্রহের মানুষ এমন আজব প্রাণী!
রূপ থাকেনা সব জনের তাও মন থেকে একখানি।
হয়তো কারো মুখের গঠন ঠিক যেন বাঁদর মতন,
তবুও সে করে যতন, পারে  যতখানি।


হয়তো কেউ সুন্দরতম, দুধে আলতায় গোলা'
রূপের আগুনে বিশ্ব পুড়ে, দেয়রে মনে দোলা,
যদি থাকে রূপের বাহার নিছক তার মনের বিচার,
বিষের খনি রূপে অসার, তবুও সে ভোলা।


হয়তো কেউ মিষ্টি ভাসে কান জুড়িয়ে দেয়'
হায়নারা তার বুকের ভেতর চড়ে আবাধেই..
তবু তার কথার জালে, পরে মানুষ সাঁঝ সকালে
শ্রান্ত সে হয় অকালে,মিষ্টি কথাতেই।


হয়তো সে সমাজের মুখ দারুন বুদ্ধিমান,
তারই মাঝে বাস করে এক জাগ্রত শয়তান।
তবু তার বুদ্ধি বেশি , হোকনা  যতই সর্বনাশী
লাজে মরে মিথ্যে শশী, মিথ্যে বলিদান।


মনের মানুষ কে বা চেনাই কে বা তারে চেনে,
মন দেখে এ সমাজে কেই বা মানুষ কেনে।
সবাই রই রঙের খোঁজে,তিন ম'এতে মজে
প্রেম মানে শরীর বোঝে মাংসটা নেয় ছেনে।


অধমেন্দ্র বলে ওরে মানুষ আমার কথা শোন
ছলের ভবে কেউ কারো নয় কেউ নয় আপন
সবাই চলে স্বার্থের তরে স্বার্থের লাগি মারে ও মরে
দিন শেষে ভেইক ধরে রইরে সারাক্ষন।