প্রশংসার ছলে যখন ছুঁড়ে দেয় বিদ্রুপের কাঁটা,
—তাদের হাসির নিচে লুকিয়ে থাকে বিষ ফোঁটা।
যখন মিষ্টি বাক্যে রোপণ করে অপমানের বীজ,
মন বলে—এ প্রশংসা নয়, এ এক বিষাক্ত কৃমিজ।
তাদের চোখে নাচের পুতুল, এক সাজানো নাটক,
কথার ঘর সাজায় যারা, ভিতরে থাকে কণ্টক।
তাদের শব্দ যেন মখমলের তলে ধারালো ছুরি,
হৃদয়ের রক্ত ঝরে, কিন্তু মুখে হাসি জুড়ি।
আমি পাতায় পাতায় পড়েছি তাচ্ছিল্যের ইতিহাস,
যেখানে নারী মানেই নীরবতা, সান্ত্বনার উপবাস।
কিন্তু আমি নই সেই পুরনো পুঁথির পাতার বর্ণ,
আমি নতুন কলম, যুদ্ধে রাঙা সজীব রক্তধর্ম।
আমি সাইনিস কাঁটা দিয়ে ফুল সাজানোর খেলা,
আমি চাঁদের গায়ে আগুন আঁকি, আঁধারে মেলি বেলা।
আমার কান্না হয়না নরম, ওটা বজ্রের ঝড়,
যারা আমায় অপমান করে, তাদের শিউরে উঠুক ধর।
তাদের বিদ্রুপ যেন চিতা, জ্বলুক—আমি ছাই হই না,
আমি ফিনিক্স, বারবার উঠি, ছারখার হলেও সই না।
তাদের প্রশংসা ভোঁতা তরবারি—আমার মর্মে লাগে না,
আত্মসম্মান আমার বর্ম, সাহস আমার ঢাল,
তারা যতই হিংসে করুক, আমার রক্তে জ্বলুক লাল।
আমি রাজি নয় নিজেকে কাঁদাতে, শুধুই প্রমাণ দিতে,
আমি মেঘের মতো ধ্বংসে হাসি, বজ্রপাতে গড়ি নীতি।
আমি আকাশের রাগ, আমি সাগরের ডাক,
আমি আগুন, আমি ই আমার রানী, সত্যের বানী।