স্বপ্নসমান গভীর আবেগের স্থানে আঘাত করো না আর একটিবারও।
পৃথিবীর মানচিত্রে আঁকা কতো দেশের কতো মহীয়ানের দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য।
সেদিকে তাকাও দু’চোখ মেলে প্রাণের সংকীর্ণতা মুছে ফেলো-
তোমরা মুখে আঙ্গুল চেপে।
যে দেশ আমরা পেয়েছি যার ঔদার্যে বুকভরা ভালোবাসার নিমিত্তে-
তাঁর প্রতি এতো জিঘাংসা কোত্থেকে এলো হঠাৎ,
আলোতে অন্ধকার ছুঁড়ো না।
স্পর্ধার তিরে বারবার তোমরা কাকে বিদ্ধ করতে চাও?
জাতির জন্মদাতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চাওয়ার মতো এতো বড় দুঃসাহস-
কীভাবে হলো!
সংস্কৃতির কাণ্ডে কাণ্ডে কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করতে চাও-
মানুষের তৈরি উজাড় করা ক্ষুধার্ত ভালোবাসা?
ভিন্ন ভিন্ন অপব্যাখ্যায় বিরচিত করে অপসংস্কারের কলুষিত পথ-
বেছে নিয়েছ গোবেচারা কণ্ঠস্বরে!
বাংলার মানচিত্র থেকে বাংলার মাটি থেকে কখনো মুছে ফেলতে পারবে না তোমরা
শিল্পের ফোঁটা, বিপথগামী গর্হিত তোমাদের ক্ষণিকের তেজ।
যে শব্দগুলো উচ্চারণ করেছো উদ্ভ্রান্তের মতো সেগুলো ফিরিয়ে নাও।
তোমরা বুঝোনা শিল্পের তরবারি কতো ধারালো কতো তেজস্বী।
দুই ধারাকে তোমরা এক করে ফেল অথচ দু’টি সমর্পণ দুই ক্ষেত্রে ভিন্ন অবিরুপে।
সময়ের চোখে তোমরা কালো কাপড় বেঁধে দিয়েছ।
অলংকৃত প্রতিবিম্বকে টুকরো টুকরো করে গুঁড়িয়ে দিতে চাও!
এতো মারাত্মক স্পর্ধা কীভাবে ধারণ কর?
পিশাচের মতো অত্যুজ্জ্বল আবক্ষকে সরিয়ে ফেলতে চাও,
ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চাও প্রাণপুরুষের নির্মল অস্তিত্ব।
আর একটি অপযজ্ঞীয় বিরোধী উচ্চারণও নয়।