ফাগুনের মন্ত্রে কখনো বনজ বাহারে ধীরে অবগুণ্ঠন খুলে-
বাতাস উড়ে খোলা বাহুতরঙ্গে।
নিচু স্বরে দৃশ্যমান লালজ্জ বৃক্ষকলি স্মরে গতরাতের ঝরে যাওয়া-
পাপড়িদলের সর্বশেষ কলতান।
মরুর বুকও শুষে নেয় হিমাদ্রির বাকি অবয়ব-
পল্লবে সবুজ ষোড়শ যেন উড়ন্ত বালিকনা।
আকাশের বুকে তারা কীভাবে ভেসে উঠে,
বল কীভাবে মেঘের বিদিকে বাতাস সহচরী?
সহিষ্ণু বাতাসের গালিচায় পাতাঝরা অরণ্যের বুকে দম বাঁধে নতুন কুঁড়ি।
উপত্যকার বুক চিঁরে কেন বয়ে যায় জলের প্রবাহ-
প্রকৃতির জোড়া হর্ষে নির্বাক বরণে?
বারবার টেনে নেয়া নিঃশ্বাসের অবগাহনে কোন এক মাটির টানে-
মুখ ঢেকে আছে এক পরিণীতা রক্তিম ওড়নায়।
পরিণতর বুকে স্বপ্নের জাল লাজ ভুলে কখন-
ছুটে আসবে সময়ের আবেগঘন মুহূর্তটুকু।
জড়িয়ে নিতে শত দুখের পর বাকি জীবনের সারথিকে একটুকু হেসে।
বুকের জমিনে কোন খাদ নেই যে; অপার সে বিশ্বাস।
নিঃশ্বাস খুঁজে নিতে হয় বিশ্বাসে,
যেভাবে দিন শেষ হয় আঁধারে আবার আঁধার টেনে নেয় আলো অবধারে।
এক আলোকিত তোমার আকাশে উড়ে বুঝে নিয়েছি-
কোথায় আমার নীড় অবসন্ন দেহে যেখানে নিতে পারি একটুকু বিশ্রাম,
ঘুরেফিরে ক্লান্ত তাও যেন নয় চলার শেষ।
যুদ্ধ করে করে নীলাভ সর্বস্বান্ত দিশারী মনের ঠিকানায়-
তুমি যে গভীর আস্থা রেখেছ তার মাঝে খুঁজে পাই-
অনাগত চেতনার নিবিড় অবলোকন।
সময় বলে দেবে কোথায় শক্ত ভিত চেয়ে আছে-
অনায়াসে গড়ে দিতে ন্যায্য ভবিষ্যৎ।
অবিচল শ্রান্ত চোখও চায় না যেন বুজতে-
দেখে নিতে রাতের শেষের শুকতারার মিলিয়ে যাবার পথ।