ত্রাসের বিরুদ্ধে বলা কথার তেজে ভয়ে আক্রান্ত কুচক্রে-
আশ্চর্যও ছিল মুহূর্ত।
হঠাৎ করে বিবমিশার মতো প্রকম্পন করে দিলো সাদা ধুঁয়ার পাথর পাতা।
যেদিকে যে পারে ছুটে দৌড়ে রক্তের দাগে ছিন্নভিন্ন।
বেমাতাল বেমালুম রোগাক্রান্ত মনের বহ্নি-শিখায় ত্রস্ত কিছু মন-
কিছু দেহ যে আজও বয়ে চলে কুমন্ত্রের দুর্বিষহ অনাচার।
ছুটতে থাকা বুলেটও গায়ে ধরে বাঁচিয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশের প্রাণ।
বিচারের নত ভারে শিখতে শিখতে কয়েদীও বুঝে গেছে কি হবে কাছের বিকেলে।
আর যারা দুরাপার, তাদের ধরবে মনের প্রকার বিষের দহনে-
যেভাবে মরে সাপ ঈগলের ছোবলে।
শুধু পৃথিবী বলে-
আজও এখনো চাই সেই মুখ,
যে মুখ দু’টি আজও করে স্নান ঈশ্বরের পবিত্র বৃষ্টি জলে।
আজও হতবিহ্বল-মনে করে পঁচাত্তর-
মনে করে একুশে আগস্টের বিমাত্রাবিহিন ছুরিধার স্প্লিনটারের কাতরানো।
মনে করে মেরে ফেলার বারবার চেষ্টা যত্রতত্র।
রাষ্ট্রের শিখরের অর্ধাঙ্গিনী কেড়ে নেয়া এক ইশারায়।
মানুষের বুঝি বিবেক আছে?
ঈশ্বরের বুঝি বিচার আছে?
সবই ঘটে তাঁর ইচ্ছেমতোই।
প্রতিকারের জন্য সবচেয়ে ভালো’র প্রয়াসে।