পুরো শহরটা জুড়ে থাকা মানুষের কলরবে দিনের আলো যেন কাতর।
চলতে থাকা যান্ত্রিক দরাজে ঘাম কর্পূর হয়ে বাতাসে মিশে যায়।
চোখ বেয়ে নামা অশ্রুর পরে আবার কোথাও মানবিক লালিত হাসি।
দোকানির একদমে পসরা সাজাতে বলা মাসকা বাঁধা ছেলেটিকে।
মাসের শেষ দশদিন; মধ্যবিত্ত ভাড়াটের গুনে গুনে টাকা খরচ চলে।  
মোটরসাইকেলে পিছনে বসে উদ্দাম তরঙ্গে খোলা চুল বাতাসে চুমুক খুঁজে।
বাসের হেল্পার উঠতে নামতে মেয়ে যাত্রীর শরীর ছুঁয়ে দেয়।
দ্রুত যেতে হবে তবুও উবারের ড্রাইভারের খবর নেই।
চোখ কপালে তুলে বাবাকে প্রথম ফোন কিশোরীর অবাক করা পরীক্ষার ফলে।
বেড়াতে এসে মায়ের জন্য গাঁয়ের ছেলের ঘন শীতে এক ফালি চাদর নিয়ে যাওয়া।
সদরঘাটের বাতাস ভারী-কালো-বিষাক্ত পানির মোচরে বন্দী।
আকাশচুম্বী ভবনের বেল্কনিতে সদ্য বুঝতে শেখা বাবুটা হতাশ হয়ে নিচে তাকায়।
জমাট পানিতে গলিজ রাস্তায় গতমাসে কেনা দামি মোবাইলটার সমাধি রচে।
এলেভেটরে উপরে উঠতে গিয়ে অন্ধকারে ঘামজড় আধাঘণ্টা জেনারেটরও নেই বলে।
মাটিতে লেপটে থাকা রাস্তার দলেরা ঘুমায় তবু অজস্র ছুটে চলা মানুষহীনে।
সব চেয়ে দেখে বোবা মেঘের মতো ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাওয়া।
নির্জন গভীর রাতে রাস্তারা কথা বলে; যাপিত জীবনের সব লিখে রাখে।
কোন একদিন একা ঘুমন্ত রাস্তার গায়ে টোকা দিয়ে জাগিয়ে দেখো-
সে তোমাকে কানে কানে সব বলে দেবে।