ভালোবেসে দীপ জেলে যাই-
মনের প্রণিধানে রয়েছো নির্জনেও-
তুমি কখনো নিশ্চুপ।
মনের অলিগলিতে আমি তোমার সাঁজে।
বাজে শ্যামের বাঁশি,
ভালোবাসা কাকে বলে বল?


এই পৃথিবীর চোখেমুখে তুমি এঁকে ফেলেছো আমার নাম-
চাঁদের কলঙ্কে ধাবিত মনের চাহনি-
পুড়ে ছারখার মানবিকের অমানবিক তিরিক্ষি।
বিপরীতে আমি ডাকি তোমায় কতো আপন করে,
তুমিও ডাকো আমায় জাগরণের মূলে।


আমি হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে তোমাকে দেখেই-
ভালোবেসে বলে উঠি এই ভেবে-
কেন কোন মায়ায় কোন বাঁধনের ডোরায় আমায় বেঁধে নিলে-
অপার সুরক্ষিতার মতো আঁচলে আমি পিছু ধাই অনুরণনে।
মনের স্নিগ্ধতা কোথায় বল না দেখেই ভালোবাসা।
বাস্তবের চাহনি না জানি কতো উৎসে ভরা আশ্চর্যের যতনে গড়া।
এই মনের গহীনের শত ভালোবাসা তোমার জন্য।


রাতের নিরালায় তারার পাশে চাঁদ-
তাও তাকিয়ে ভাবি আমি কি তাই-
যদিও কিছু ভুল হয়ে যায়,
সেই চোখে তাকালে আমার অশ্রু ঝরে পড়ে টপটপ করে।
দগ্ধ যে হৃদয় কেন যে বুঝনা।
মনের মাস্তুলে শাপলা জলে ভাসি ওপাড়ে তুমি-
বল পাল তুলে ছাড়ো নীলিমের গান-
কাছে আসো মায়ের যতনে যেভাবে যত্নে বলি সদাই।


তুমিও উড়ন্ত মেঘের মতো মনের তীরে ছুঁলে-
হাতে তুলোর মতো মিলিয়ে যাও কান্নার জলের ধারায়-
যেভাবে স্রোত গান গায়।
ঢেউয়ের বালিকা জলে আমার পা ভিজেনি এখনো।
তুমি তো ডেকে বল একবার ভালোবাসো উজার করে-
আনন্দে মাতো কণ্ঠে গেঁথে আমার নাম ও প্রিয়।
আমি বলি আমিও যেতে চাই সেই সুখপানে বেহুঁশ বাতাসে।
এখনি নাই যাই; যাবো কি রঙিন প্রয়াণে?