যখন তোমার চোখে চেয়ে থাকি অপলক,
আমি হারিয়ে যাই তোমার সবুজাভ চোখে।
তোমার চোখে কি যেন এক ভাষা-
কিছু বলতে চাওয়া দূরবীনে তারার মতো-
দিক ছুঁয়ে যাওয়া মধ্যমণি।
ভুলে যায় এই প্রাণ কষ্ট, দুঃখ, অত্যাচার যতসব।
পিষ্ট হতে হতে সর্ববিনাশ অত্যাচারিতের প্রার্থনা-
অলক্ষে সবার আগে চলে।
পূর্ণতা পায় দোর্দণ্ডে অলৌকিক বিচারে।    
এই সেই চোখে পেতে চোখ-
ভালো লাগে কেন যেন কেমন এক-
ভীষণ অব্যক্ত ভালোলাগা।
আমি তাকিয়ে থাকতে থাকতে যখন ক্লান্ত চোখে-
বিন্দু জল এসে গেছে বুঝি-
তখন একটু স্বস্তি পেতে আমার চোখ বুজে নিয়ে-
মনের পাশে তাও তো তোমাকেই গুনি।
বিকেলের গায়ে ধুঁয়াটে বাতাসের হালকা উড়াউড়িতে-
কিছু মেঘ কালো হয়ে সন্ধ্যে বুনে-
আমার হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্তিতে বসে পড়া-
ছায়ানীড় কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুটে উঠা প্রতি আগামীর প্রাতে।
চোখের পাপড়ি ভিজে; ভিজে উঠতে চায়-
ভিজে উঠে বিগত যাপিত ধ্বংসের লীলার ঝাঁঝে।
খেয়ালের দেয়ালে এখনো যে আছে জীবন-জমিন পিঠ ঠেকে।
পায়চারী করে আরতি রাতের বুকে দিন আর দিনের সমুখে রাত দেখে।